কৌশলতগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ না হওয়ায় কানাডা, ফ্রান্স ও পর্তুগালের সঙ্গে কয়েক দশকের সামরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত তিনটি চুক্তি বাতিল করেছে রাশিয়া। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দেশটির রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন স্বাক্ষরিত একটি ডিক্রি সরকারিভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর এই তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, সামরিক সফরের বিষেয়ে ১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর মস্কোতে সই করা সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকার ও কানাডা সরকারের মধ্যকার চুক্তি, ১৯৯৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মস্কোতে সই করা রুশ ফেডারেশন ও ফ্রান্স সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি এবং ২০০০ সালের ৪ আগস্ট মস্কোতে সই করা রুশ ফেডারেশন ও পর্তুগাল সরকারের সামরিক সহযোগিতা চুক্তির এই তিনটি সমঝোতার কার্যকারিতা বাতিল করা হয়েছে।
সিদ্ধান্তটি আনুষ্ঠানিকভাবে কানাডা, ফ্রান্স ও পর্তুগাল সরকারকে জানানোর জন্য রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই চুক্তিগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। যদিও ডিক্রিতে এই সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। মস্কো এই পদক্ষেপকে প্রশাসনিক ও কৌশলগত হালনাগাদ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে জার্মানির সঙ্গেও একই ধরনের সামরিক-প্রযুক্তিগত চুক্তি বাতিল করে রাশিয়া। এসব চুক্তি বাতিলের ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিরক্ষা কূটনীতিতে বৃহত্তর পুনর্গঠনের ইঙ্গিত মিলছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর অব্যাহত সমর্থনের কারণেই রাশিয়া এখন সম্পর্কগুলো পুনর্বিবেচনা করছে।
এদিকে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, সামরিক শিল্প এলাকা ও জ্বালানি স্থাপনায় কিয়েভের হামলার প্রেক্ষিতে কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাল্টা হামলা চালিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। এ হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৫০ জন ইউক্রেন সেনাি নিহত হয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।
বিডি প্রতিদিন/কামাল