শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বিমান হাইজ্যাকের সেই ঘটনা

সুমন পালিত
প্রিন্ট ভার্সন
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বিমান হাইজ্যাকের সেই ঘটনা

লায়লা খালিদ ফিলিস্তিনের মুক্তিসংগ্রামের একজন নেত্রী। সে দেশের মুক্তিসংগ্রামে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণে ১৯৬৯ সালের ২৯ আগস্ট তিনি ইতালির রাজধানী রোমে যাত্রীবাহী বিমান হাইজ্যাক করেন। এ ঘটনার দুই বছর তিন মাস পাঁচ দিন পর ফ্রান্সে হাইজ্যাক হয় পিআইএর একটি বিমান। হাইজ্যাককারীর দাবি ছিল একটাই- বাংলাদেশের বিপন্ন মানুষের জন্য ২০ টন ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী ও খাদ্য দিতে হবে। নইলে উড়িয়ে দেওয়া হবে হাইজ্যাক করা বিমান। ১৯৭১ সালে বিশ্ব ছিল দুই শিবিরে বিভক্ত। একদিকে আমেরিকাসহ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো। এর বাইরে ছিল জোট নিরপেক্ষ বিভিন্ন দেশ। সংখ্যায় বেশি হলেও সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তিতে যারা ছিল পিছিয়ে। পাকিস্তানের শাসকরা ঐতিহ্যগতভাবে ছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সেবাদাস। ইসরায়েলের মতো পাকিস্তানকেও যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হিসেবে ভাবা হতো। যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ মানুষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকলেও শাসকগোষ্ঠী ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। অন্য পশ্চিমা দেশের শাসকরা জনসমর্থন হারানোর ভয়ে পাকিস্তানের পক্ষ না নিলেও বাংলাদেশের পক্ষাবলম্বন থেকে বিরত থাকে। ফ্রান্সের ভূমিকাও ছিল অভিন্ন।

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসরদের হাতে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ধর্ষিত হয়েছে হাজার হাজার নারী। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের গণহত্যা, জ্বালাওপোড়াও, নির্যাতন থেকে বাঁচতে এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়। শরণার্থী শিবিরগুলোতে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় হাজার হাজার মানুষ। যাদের বেশির ভাগই শিশু। এ তথ্য সভ্য দুনিয়ার বিবেকবান মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশি শরণার্থীদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে পশ্চিমা দেশগুলোর সাধারণ মানুষ। তবে সে সহায়তা ছিল চাহিদার তুলনায় নগণ্য। ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলোতে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রীর অভাবে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মরছে, এ খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন এক ফরাসি তরুণ। তিনি বিমান হাইজ্যাকের সিদ্ধান্ত নেন। হাইজ্যাক করা বিমানের বদলে অসহায় মানুষদের জন্য চান মেডিকাল যন্ত্রপাতিসহ ২০ টন ওষুধ ও খাদ্য সাহায্য। অবিস্মরণীয় ঘটনাটি ঘটেছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে। ফ্রান্সে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস বা পিআইএর ৭২০বি উড়োজাহাজে যাত্রীবেশে ওঠেন ৩৮ বছরের ফরাসি তরুণ। নাম তাঁর জ্যাঁ কুয়ের। একপর্যায়ে যাত্রীবাহী বিমানের ককপিটে ঢোকেন। যুবকটি পাইলট আর কো-পাইলটকে বলেন বিমানটি ছিনতাই হয়েছে। জ্যাঁ কুয়েরের বুকে বাঁধা ছিল একটি ব্যাগ। পাইলট ও কো-পাইলটকে সেই ব্যাগ দেখিয়ে যুবক বলেন, এটি একটি শক্তিশালী টাইমবোমা। তাঁর দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশি শরণার্থীদের জন্য ২০ টন ওষুধ ও খাদ্য না পাঠালে যাত্রীসহ পুরো বিমান ধ্বংস করা হবে।

নিয়াজী অপেক্ষা করছিলেন মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর আলোচকদের জন্য। জেনারেল নাগরা ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তাঁর ঘরে ঢোকার মাধ্যমে সেই প্রতীক্ষার অবসান হয়। নিয়াজী জেনারেল নাগরাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। তাঁর কাঁধে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, রাওয়ালপিন্ডির বাস্টার্ডরা এই পরিণতির জন্য দায়ী

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বিমান হাইজ্যাকের সেই ঘটনাজ্যাঁ কুয়ের বিমানটি দখলে নেওয়ার পর ফরাসি কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করে, তাঁর দাবি মেনে নেওয়া হবে। তারপর রেডক্রসের কর্মী এবং উড়োজাহাজের টেকনিশিয়ান পরিচয়ে ছদ্মবেশী প্রশিক্ষিত দুইজন কমান্ডো বিমানে ঢুকে পড়েন। তাঁরা কৌশলে জ্যাঁ কুয়েরকে নিচে নামিয়ে আনেন। বিমান হাইজ্যাকের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ফরাসি যুবকের বুকে লেপটে থাকা ব্যাগে বোমার বদলে পাওয়া যায় একটি বাইবেল ও দুটি ডিকশনারি। নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন, জ্যাঁ কুয়ের অপরাধী নন বরং মানবতার ফেরিওয়ালা। তবে বিমান হাইজ্যাক যেহেতু গুরুতর অপরাধ, সেহেতু ফ্রান্সের আইন অনুযায়ী তাঁর বিচার হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রত্যেকে সাক্ষ্য দেন, জ্যাঁ কুয়ের যা করেছেন তা মানবতার জন্য। কারও ক্ষতির ইচ্ছা ছিল না, তেমন কোনো চেষ্টাও তিনি করেননি।

তারপরও আইন তাঁকে ছাড়েনি। ফরাসি আদালত সে দেশের আইন অনুযায়ী তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। কারাদণ্ড দিলেও কুয়েরের দাবি অনুযায়ী ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশের বিপন্ন মানুষের জন্য ২০ টন মেডিকেল সরঞ্জাম পাঠায়। বাংলাদেশপ্রেমী ফরাসি যুবকের জন্য সেটি ছিল এক বিরাট অর্জন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। ৩ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছে পাকিস্তানি দখলদারদের পাশবিক নির্যাতনে। দুনিয়ার সব বিবেকবান মানুষ সেদিন দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের পাশে। জ্যাঁ কুয়েরের মতো অনেক বিদেশি মুক্তিযোদ্ধা আত্মত্যাগ করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের জন্য।

দুই.

মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের বিপন্ন মানবতার পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে বিশ্বখ্যাত গায়ক জর্জ হ্যারিসনের অবদান অসামান্য।

১৯৭১ সালে লস অ্যাঞ্জেলসে থাকার সময় তিনি তাঁর বন্ধু ভারতীয় সংগীতজ্ঞ রবি শঙ্করের কাছ থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অভিহিত হন। রবি শঙ্করের অনুপ্রেরণায় ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের বিপদাপন্ন মানুষের সাহায্যার্থে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজন করেন। এতে জর্জ হ্যারিসন, বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি প্রিস্টন, শিয়ন রাসেল, ব্যাড ফিঙ্গার, রিঙ্গে স্টারসহ অনেকে অংশ নেন। কানসার্ট থেকে আয় করা অর্থের ২ লাখ ৪৩ হাজার ডলার ত্রাণ হিসেবে ইউনিসেফকে দেওয়া হয়। স্মর্তব্য কনসার্টে জর্জ হ্যারিসনের গাওয়া ‘বাংলাদেশ’ গানটি জনপ্রিয়তার দিক থেকে চমক সৃষ্টি করে। এ গান তাঁকে অরমত্ব দান করে বললেও অত্যুক্তি হবে না।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ববাসীর সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গের লেখা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ কবিতা। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে এই মার্কিন কবি ভারতের শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান। কলকাতার কবি-সাহিত্যিকদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে অ্যালেন গিন্সবার্গের বন্ধুত্ব ছিল আগে থেকেই। যাঁদের মধ্যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন অন্যতম। তিনি তাঁর বাড়িতে ওঠেন। সময়টা ছিল বর্ষাকাল। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সংযোগকারী যশোর রোড ছিল পানিমগ্ন। সড়কপথে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় নৌকায় করে বনগাঁ হয়ে তিনি বাংলাদেশের যশোর সীমান্তে পৌঁছান। যশোর রোডের দুই পাশের শরণার্থী শিবিরগুলোর মানবেতর পরিবেশ দেখে তিনি ব্যথিত হন। শরণার্থীদের দুরবস্থা দেখে তাঁর মন কেঁদে ওঠে। জীবনের সবচেয়ে দুঃখজনক এই অভিজ্ঞতা থেকেই গিন্সবার্গ লেখেন ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ কবিতাটি। এটি তিনি পরে গানে রূপান্তর করেন।

কবিতা লিখেই ক্ষান্ত হননি মানবতার ফেরিওয়ালা অ্যালেন গিন্সবার্গ। দেশে ফিরে তিনি তাঁর বন্ধু বব ডিলান ও অন্যান্য বিশ্বখ্যাত গায়ককে নিয়ে বাংলাদেশের শরণার্থীদের সাহায্যে কনসার্ট করেন। স্বাধীনতার পর সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড কবিতার বাংলায় অনুবাদ করেন কবি খান মোহাম্মদ ফারাবী। ‘যশোর রোড’ নামের সে কবিতাটি গান হিসেবে গেয়েছেন মৌসুমী ভৌমিক। চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ তাঁর চলচ্চিত্রে এটি গান হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সে গানের প্রথম কটি লাইন হলো-

শত শত চোখ আকাশটা দেখে, শত শত শত মানুষের দল,/ যশোর রোডের দুধারে বসত বাঁশের ছাউনি কাদামাটি জল।/ কাদামাটি মাখা মানুষের দল, গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে,/ আকাশে বসত মরা ঈশ্বর, নালিশ জানাবে ওরা বল কাকে।/ ঘরহীন ওরা ঘুম নেই চোখে, যুদ্ধে ছিন্ন ঘর বাড়ি দেশ,/ মাথার ভিতরে বোমারু বিমান, এই কালরাত কবে হবে শেষ।

তিন.

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে পাকিস্তান বাহিনীর দখলদারত্ব ছিল নগর শহর বন্দর এলাকায় সীমাবদ্ধ। বেশির ভাগ গ্রাম ছিল মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। নভেম্বরেই পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ড গঠিত হয়। যৌথ কমান্ডের নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। একাত্তরের ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারতে বিমান হামলা চালায়। এর এক দিন পর ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। স্বীকৃতি দেওয়ার পর বাংলাদেশের পাকিস্তানি সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে একের পর এক বিমান হামলা চালানো হয়। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে ২৩০ বার বিমান হামলা চালিয়ে তারা পাকিস্তানি বাহিনীকে কোণঠাসা করে ফেলে। ধ্বংস হয়ে যায় পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সব যুদ্ধবিমান।

টাঙ্গাইলে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সৈন্য নামানো হয় বিমান থেকে প্যারাশুটে করে। ডিসেম্বরের আগেই পাকিস্তানিদের অবস্থান রাজধানী ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রাম নগরীতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। মিত্রবাহিনীর কৌশল ছিল রাজধানী ঢাকা দখল করে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ নিশ্চিত করা। তারা এজন্য সময় নির্ধারণ করে দেয়। লে. জেনারেল নিয়াজীর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান বাহিনী বুঝে যায়, আত্মসমর্পণ না করলে তাদের ধ্বংস অনিবার্য। তারা ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণে রাজি হয়। সিদ্ধান্ত হয় ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করবে পাকিস্তানি বাহিনী। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য তারা মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে মেজর জেনারেল জামশেদ গুলজার কিয়ানিকে পাঠায়।

১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা। সেদিন রাজধানী ঢাকা ছিল ঘন কুয়াশায় ঢাকা। শহরজুড়ে জারি ছিল কারফিউ। রাস্তাঘাট জনশূন্য। ঠিক সেই মুহূর্তে যৌথ বাহিনীর ঘাঁটি থেকে দুটি গাড়ি ছুটে যাচ্ছে পাকিস্তান ইস্টার্ন কমান্ডের হেড কোয়ার্টারের দিকে। দুটি গাড়ির প্রথমটা জিপ। যেটিতে আছেন মেজর জেনারেল জামশেদ। দ্বিতীয়টায় পতাকা ওড়ানো স্টাফ কার। যে কারে আছেন ভারতীয় বাহিনীর মেজর জেনারেল নাগরা ও কাদেরিয়া বাহিনীর অধিনায়ক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী অপেক্ষা করছিলেন মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর আলোচকদের জন্য। জেনারেল নাগরা ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তাঁর ঘরে ঢোকার মাধ্যমে সেই প্রতীক্ষার অবসান হয়। নিয়াজী জেনারেল নাগরাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। তাঁর কাঁধে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘রাওয়ালপিন্ডির বাস্টার্ডরা আমার আজকের এই পরিণতির জন্য দায়ী।’

নিয়াজী একটু আত্মস্থ হতেই জেনারেল নাগরা তাঁর পাশে দাঁড়ানো মানুষটির সঙ্গে নিয়াজীকে পরিচয় করিয়ে দেন। বলেন, ইনি টাইগার সিদ্দিকী। জেনারেল নিয়াজী অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন, কাদেরিয়া বাহিনীর তরুণ অধিনায়কের দিকে। পাকিস্তানি জেনারেলের সংবিৎ ফিরে পেতে কিছুটা সময় লাগল। একসময় নিয়াজী করমর্দনের জন্য হাত বাড়ান কাদের সিদ্দিকীর দিকে। বঙ্গবীর হাত এগিয়ে দিলেন না পাকিস্তানি সেনাপতির দিকে। ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, নারী এবং শিশু হত্যাকারীদের সঙ্গে তিনি করমর্দন করেন না। নিয়াজীর জন্য অপমানজনক হওয়া সত্ত্বেও তিনি চুপ থাকলেন। তাঁর করার কিছুই ছিল না। দুই পক্ষের বৈঠকে নিয়াজী আপত্তি জানালেও সিদ্ধান্ত হয়, ওই দিনই রেসকোর্স ময়দানে প্রকাশ্যে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করবে মিত্রবাহিনীর কাছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকাল ৪টা ৩১ মিনিটে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করে যৌথ বাহিনীর কমান্ডার লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান এয়ার কমান্ডার একে খন্দকার। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর কোনো বাহিনীর এত বেশি সৈন্য প্রতিপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করেনি।

আত্মসমর্পণ দলিলের মোদ্দা কথা

পূর্ব রণাঙ্গনে ভারত ও বাংলাদেশ বাহিনীর অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানের সব সশস্ত্র বাহিনী আত্মসমর্পণে সম্মত হলো। পাকিস্তানের সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীসহ সব আধাসামরিক ও বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেত্রে এই আত্মসমর্পণ প্রযোজ্য হবে। এই বাহিনীগুলো যে যেখানে আছে, সেখান থেকে লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কর্তৃত্বাধীন সবচেয়ে নিকটস্থ সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে।

লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা আত্মসমর্পণকারী সেনাদের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী প্রাপ্য মর্যাদা ও সম্মান দেওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করছেন এবং আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানি সামরিক ও আধাসামরিক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও সুবিধার অঙ্গীকার করছেন। বিদেশি নাগরিক, সংখ্যালঘু জাতিসত্তা ও জন্মসূত্রে পশ্চিম পাকিস্তানি ব্যক্তিদের সুরক্ষাও দেওয়া হবে।

লেখক : সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

ইমেইল : sumonpalit@gmail.com

এই বিভাগের আরও খবর
জনশক্তি রপ্তানি
জনশক্তি রপ্তানি
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী
আল্লাহর রহমত ও দয়া অপরিসীম
আল্লাহর রহমত ও দয়া অপরিসীম
নির্বাচনি ট্রেনের গন্তব্য যেন ফেব্রুয়ারিই হয়
নির্বাচনি ট্রেনের গন্তব্য যেন ফেব্রুয়ারিই হয়
উন্নয়নে গতি নেই
উন্নয়নে গতি নেই
বরেন্দ্রে পানিসংকট
বরেন্দ্রে পানিসংকট
খলিফা আবু বকর (রা.)
খলিফা আবু বকর (রা.)
মানবাধিকার অপরিহার্য
মানবাধিকার অপরিহার্য
স্বনির্ভরতার বাস্তব সংজ্ঞা
স্বনির্ভরতার বাস্তব সংজ্ঞা
প্রাণীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নবীজি (সা.)
প্রাণীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নবীজি (সা.)
সুস্থ হয়ে উঠুন দেশনেত্রী
সুস্থ হয়ে উঠুন দেশনেত্রী
দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি
দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি
সর্বশেষ খবর
এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের সাথে নবাগত এসপির মতবিনিময়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের সাথে নবাগত এসপির মতবিনিময়

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষক–কৃষাণীদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষক–কৃষাণীদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি

১৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাগ রপ্তানি শুরু করলো আরএফএল
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাগ রপ্তানি শুরু করলো আরএফএল

১৭ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

দেশের চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে নীতিমালা মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ করলো ব্রিটিশ কাউন্সিল
দেশের চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে নীতিমালা মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ করলো ব্রিটিশ কাউন্সিল

২৫ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

একযোগে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি এনসিপির ৪০ নেতাকর্মীর
একযোগে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি এনসিপির ৪০ নেতাকর্মীর

২৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

বড়াইগ্রামে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা
বড়াইগ্রামে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঐশ্বরিয়া আমার সত্য জানে, আমি তার: অভিষেক
ঐশ্বরিয়া আমার সত্য জানে, আমি তার: অভিষেক

৪০ মিনিট আগে | শোবিজ

তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস

৪২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা সাজিয়ে বিসিএস ক্যাডার, সেই কামাল ও তার পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা সাজিয়ে বিসিএস ক্যাডার, সেই কামাল ও তার পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

৪২ মিনিট আগে | নগর জীবন

সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তফসিলের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
তফসিলের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টাঙ্গাইলে খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া মাহফিল
টাঙ্গাইলে খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া মাহফিল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দম ফুরিয়ে আসছে, বাঁচার উপায় কী
দম ফুরিয়ে আসছে, বাঁচার উপায় কী

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ধানের শীষ বিজয়ী হলে দেশে উন্নয়ন হয়: আনিসুল হক
ধানের শীষ বিজয়ী হলে দেশে উন্নয়ন হয়: আনিসুল হক

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর পরীক্ষার আসন দেখতে বাধা, রামদা উচিয়ে যুবকের মহড়া
স্ত্রীর পরীক্ষার আসন দেখতে বাধা, রামদা উচিয়ে যুবকের মহড়া

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত
বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করল বুলগেরিয়ার সরকার
বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করল বুলগেরিয়ার সরকার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু
লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনি আবারও হুংকার দিলেন
খামেনি আবারও হুংকার দিলেন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের বিক্ষোভ
কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁয় ভোক্তা অধিকারের অভিযান
চট্টগ্রামে কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁয় ভোক্তা অধিকারের অভিযান

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ১৭ পরিবারকে ৮৩ লাখ টাকার চেক প্রদান
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ১৭ পরিবারকে ৮৩ লাখ টাকার চেক প্রদান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শিশু উদ্ধারে ১৮ ঘণ্টা পার, গর্ত খোঁড়া শেষে চলছে সুরঙ্গ করার কাজ
শিশু উদ্ধারে ১৮ ঘণ্টা পার, গর্ত খোঁড়া শেষে চলছে সুরঙ্গ করার কাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক উপদেষ্টা আসিফ যোগ দিচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদে: রাশেদ খান
সাবেক উপদেষ্টা আসিফ যোগ দিচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদে: রাশেদ খান

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গভীর নলকূপে আটকে শিশু সাজিদ, মায়ের হৃদয়বিদারক আকুতি
গভীর নলকূপে আটকে শিশু সাজিদ, মায়ের হৃদয়বিদারক আকুতি

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে হত্যা, জানা গেল কারণ
মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে হত্যা, জানা গেল কারণ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাঠ প্রশাসন পুরো অদলবদল
মাঠ প্রশাসন পুরো অদলবদল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তিতে লটারির ফল প্রকাশ, জানা যাবে যেভাবে
স্কুলে ভর্তিতে লটারির ফল প্রকাশ, জানা যাবে যেভাবে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ মিনিটের ব্যবধানে সিলেটে দুইবার ভূমিকম্প
৫ মিনিটের ব্যবধানে সিলেটে দুইবার ভূমিকম্প

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

৩০ ফুট গভীরে ক্যামেরা পাঠিয়েও শিশুটিকে দেখতে পায়নি ফায়ার সার্ভিস
৩০ ফুট গভীরে ক্যামেরা পাঠিয়েও শিশুটিকে দেখতে পায়নি ফায়ার সার্ভিস

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গলায় পোড়া দাগ’ ছিল একমাত্র ক্লু, যেভাবে পুলিশের জালে আয়েশা
‘গলায় পোড়া দাগ’ ছিল একমাত্র ক্লু, যেভাবে পুলিশের জালে আয়েশা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাল থেকে কর্মবিরতি, মেট্রোরেলে যাত্রী সেবা বন্ধের ঘোষণা
কাল থেকে কর্মবিরতি, মেট্রোরেলে যাত্রী সেবা বন্ধের ঘোষণা

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্কুলে ভর্তির লটারি আজ, ঘরে বসেই দেখা যাবে ফল
স্কুলে ভর্তির লটারি আজ, ঘরে বসেই দেখা যাবে ফল

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মহিবুল হাসানকে প্রত্যাহার
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মহিবুল হাসানকে প্রত্যাহার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বর্তমান সরকারে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে আসিফ মাহমুদ’
‘বর্তমান সরকারে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে আসিফ মাহমুদ’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

'আল্লাহ আমার ছাওয়ালের মরা মুখটাও দেখালা না রে'
'আল্লাহ আমার ছাওয়ালের মরা মুখটাও দেখালা না রে'

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেস সেক্রেটারি লেভিটকে প্রশংসায় ভাসালেন ট্রাম্প
প্রেস সেক্রেটারি লেভিটকে প্রশংসায় ভাসালেন ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যানার-ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যানার-ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিন উপদেষ্টাকে আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের দফতর বণ্টন
তিন উপদেষ্টাকে আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের দফতর বণ্টন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানের ড্রোন নকলের অভিযোগ
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানের ড্রোন নকলের অভিযোগ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জনপ্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিবসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
জনপ্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিবসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমান যেদিন পা দেবেন, সেদিন যেন দেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল
তারেক রহমান যেদিন পা দেবেন, সেদিন যেন দেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এ মাসেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন : ইশরাক
এ মাসেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন : ইশরাক

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা : গৃহকর্মী ৬ দিন, স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে
মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা : গৃহকর্মী ৬ দিন, স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাজ করতে গিয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর শত্রুতে পরিণত হয়েছি: আসিফ মাহমুদ
কাজ করতে গিয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর শত্রুতে পরিণত হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাজে যোগ দিলেন সেই চিকিৎসক
কাজে যোগ দিলেন সেই চিকিৎসক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'তফসিল ঘোষণার পর রাস্তায় নামলে কঠোরভাবে দমন করা হবে'
'তফসিল ঘোষণার পর রাস্তায় নামলে কঠোরভাবে দমন করা হবে'

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কড়া নিরাপত্তায় আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের অনুপ্রবেশ
কড়া নিরাপত্তায় আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের অনুপ্রবেশ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অর্থের বিনিয়মে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কাজের অনুমতি দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন
অর্থের বিনিয়মে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কাজের অনুমতি দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১১ ডিসেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১১ ডিসেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
এমন খাবার দেওয়া হতো, যা পশুপাখিকেও দেওয়া হয় না
এমন খাবার দেওয়া হতো, যা পশুপাখিকেও দেওয়া হয় না

পেছনের পৃষ্ঠা

চুরি ধরতে চাওয়ায় মা-মেয়ে খুন
চুরি ধরতে চাওয়ায় মা-মেয়ে খুন

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশি পাহারায় সচিবালয় ছাড়েন অর্থ উপদেষ্টা
পুলিশি পাহারায় সচিবালয় ছাড়েন অর্থ উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দোলনের সঙ্গী হচ্ছে প্রতিপক্ষ
আন্দোলনের সঙ্গী হচ্ছে প্রতিপক্ষ

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিন ভিসায় আসছে নয়া বিধি
মার্কিন ভিসায় আসছে নয়া বিধি

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সবার নজর ইসির দিকে
সবার নজর ইসির দিকে

প্রথম পৃষ্ঠা

এখনই মাঠে নেমে পড়ুন নইলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে
এখনই মাঠে নেমে পড়ুন নইলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি ট্রেনের গন্তব্য যেন ফেব্রুয়ারিই হয়
নির্বাচনি ট্রেনের গন্তব্য যেন ফেব্রুয়ারিই হয়

সম্পাদকীয়

নড়াইলে হাড্ডাহাড্ডি বিএনপি জামায়াত
নড়াইলে হাড্ডাহাড্ডি বিএনপি জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রতি মাসে নিখোঁজ ১৫ নারী-শিশু
প্রতি মাসে নিখোঁজ ১৫ নারী-শিশু

প্রথম পৃষ্ঠা

পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফ
পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফ

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে তৃতীয় দেশে পাঠানোর তথ্য নেই
হাসিনাকে তৃতীয় দেশে পাঠানোর তথ্য নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে ৫০ ফুট গভীর গর্তে দুই বছরের শিশু
রাজশাহীতে ৫০ ফুট গভীর গর্তে দুই বছরের শিশু

প্রথম পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটে বন্দি
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটে বন্দি

প্রথম পৃষ্ঠা

শত শত নিরীহ ও মুক্তিকামী মানুষকে জেলখানায় হত্যা
শত শত নিরীহ ও মুক্তিকামী মানুষকে জেলখানায় হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচন স্মরণীয় করে রাখতে হবে
আগামী নির্বাচন স্মরণীয় করে রাখতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যথাসাধ্য চেষ্টা
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যথাসাধ্য চেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভিন্নমত ও নারীদের হেনস্তার প্রবণতা উদ্বেগজনক
ভিন্নমত ও নারীদের হেনস্তার প্রবণতা উদ্বেগজনক

প্রথম পৃষ্ঠা

খিচুড়ি খাওয়া কেন্দ্র করে ফাঁকা গুলি রেস্টুরেন্টে
খিচুড়ি খাওয়া কেন্দ্র করে ফাঁকা গুলি রেস্টুরেন্টে

পেছনের পৃষ্ঠা

পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান সেনাপ্রধানের
পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী, চোখ অন্য দলের বিদ্রোহীদের দিকে
১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী, চোখ অন্য দলের বিদ্রোহীদের দিকে

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা এনপিপির
১৪০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা এনপিপির

নগর জীবন

ক্যাপিটাল ড্রামায় জোভান-তটিনী
ক্যাপিটাল ড্রামায় জোভান-তটিনী

শোবিজ

নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে শঙ্কা
নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকা ও চট্টগ্রামে পতাকামিছিল
ঢাকা ও চট্টগ্রামে পতাকামিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠ প্রশাসন পুরো অদলবদল
মাঠ প্রশাসন পুরো অদলবদল

নগর জীবন

দৃশ্যমান সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দৃশ্যমান সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

পেছনের পৃষ্ঠা

তেজগাঁও কলেজে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু
তেজগাঁও কলেজে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

আইজিপি বাহারুল আলমকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার চেয়ে হাই কোর্টে রিট
আইজিপি বাহারুল আলমকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার চেয়ে হাই কোর্টে রিট

নগর জীবন