জাপান ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা আরও বাড়ল। তাইওয়ান নিয়ে চলমান উত্তেজনার পারদে এবার যুক্ত হলো রাশিয়ার অংশগ্রহণ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের দেশের আশপাশে রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী যৌথ টহল পরিচালনা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে জাপান জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
বুধবার জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ বলেন, রাশিয়া–চীনের যৌথ টহল জাপানের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট শক্তিমত্তা প্রদর্শনের নমুনা, যা জাপান নিজেদের নিরাপত্তার জন্য 'গুরুতর উদ্বেগ' হিসেবে বিবেচনা করছে।
দেশটির মন্ত্রণালয় জানায়, মঙ্গলবার দুইটি টিইউ-৯৫ রুশ পারমানবিক বোমারু বিমান জাপান সাগর হয়ে পূর্ব চীন সাগরের দিকে রওনা হয়। পরে ওই বিমানের সঙ্গে চীনের দুটি 'এইচ-৬' বোমারু বিমান যৌথ টহল অভিযানে অংশ নেয়। তারও পরে আরও চারটি চীনা যুদ্ধবিমান টহলে যোগ দেয়।
তারা জাপানের ওকিনাওয়া ও মিয়াকো দ্বীপের মধ্যে রাউন্ড-ট্রিপ বা যাত্রা-ফিরতি সম্পন্ন করে। তবে মিয়াকো স্ট্রেইটকে আন্তর্জাতিক জলসীমা হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আট ঘণ্টাব্যাপী জাপানের কাছে রাশিয়ান-চীনা যৌথ বিমান টহল পরিচালনা করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাশিয়ান ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী প্রশিক্ষণ ও দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ মহড়ার মতো যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে দেশ দুটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান সামরিক তৎপরতা জাপান–চীন সম্পর্ককে আরও জটিল করছে। গত মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায় তাকাইচি বলেন, তাইওয়ানকে ঘিরে চীন কোনো সামরিক পদক্ষেপ নিলে তা জাপানের নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে টোকিও প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। তার এমন মন্তব্যের পর থেকেই দুই দেশের উত্তেজনা বেড়েছে।