সাপের কামড়ে ভ্যাকসিনের খোঁজে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটেও বাঁচানো গেল না ছোট্ট শিশু শিখা মনিকে (৬)। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিশুটিকে সাপ কামড় দেয়। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে রাত ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিখা মনি সাভারের ব্যাংক টাউনের নামা গেন্ডা বটতলা এলাকায় জহুরুল ইসলামের মেয়ে। তার বাবা দুবাই প্রবাসী এবং মা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
নিহত শিশুর নানি শাহনাজ বেগম বলেন, দুপুরের দিকে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়েছিল আমার নাতনি। সেখানে তার বাম পায়ে একটি সাপ কামড় দেয়। প্রথমে তাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। চিকিৎসক একটি ওষুধ দিয়ে বলেন—এটা দুই বেলা খাওয়ালে ঠিক হয়ে যাবে। পরে আমরা তাকে বাসায় নিয়ে আসি। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসক জানান—দ্রুত শিশুটিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যানজটের মাঝে আমরা তাকে সোহরাওয়ার্দীতে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান—তাদের কাছে সাপের বিষের ভ্যাকসিন নেই, দ্রুত মহাখালীতে নিতে হবে। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে মহাখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও জানানো হয় ভ্যাকসিন নেই। সারাদিন কষ্ট করে শেষে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বলেন—শিখা আর বেঁচে নেই।
শাহনাজ বেগম বলেন, এত বড় দেশে সাপের কামড়ে ভ্যাকসিন না থাকলে আমরা কী করব! এখন তার বাবাকে কী বলব? তার মা নিজেও প্রতিবন্ধী—শুধু তাকিয়ে থাকে আর কান্না করে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল