ভিসা কড়াকড়ি আরোপের পর চলতি বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৮৫ হাজার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে আট হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভিসা রয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বেআইনি কর্মকাণ্ড, ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া, সন্ত্রাসবাদের সমর্থন এবং নিরাপত্তা বিবেচনায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই কর্মকর্তা জানান, আমেরিকান কমিউনিটিকে সুরক্ষিত রাখা এবং জননিরাপত্তার মান বজায় রাখার অংশ হিসেবেই প্রশাসন এ পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে সব ক্যাটাগরি মিলিয়ে আমরা ৮৫ হাজার ভিসা বাতিল করেছি। এর মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভিসা রয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, ভিসা বাতিলের বড় কারণের মধ্যে রয়েছে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, হামলা ও চুরির মতো অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের কারণেই গত বছর প্রায় অর্ধেক ভিসা বাতিল হয়। এসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি, তাই তাঁদের দেশে রাখতে চায় না প্রশাসন। বিশেষ করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে আসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে যাচাই আরও কঠোর করা হয়েছে।
আফগানিস্তান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে দেশটির নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক। ভিসা আবেদনকারীরা যেন কোনোভাবেই ঝুঁকি না হয়, তা আমরা নিশ্চিত হতে চাই।’ নিরাপত্তা যাচাই শেষ করতে কত সময় লাগবে– এ নিয়েও কোনো তাড়া নেই বলে জানান তিনি।
ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক নীতির পরিপ্রেক্ষিতে ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ বা ‘কনটেন্ট মডারেশন’ সংক্রান্ত কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের সম্ভাবনা আছে কি না– এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক মূল্যবোধ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কেবল তাদের বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, যারা আমেরিকানদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।’ ভিসা মূল্যায়নে কোনো একক বৈশিষ্ট্য নয়, আবেদনকারীর সামগ্রিক পরিস্থিতিই বিবেচনায় নেওয়া হয় বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/কামাল