দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের বাতিঘরসহ সমুদ্রসৈকত এখন দেশজুড়ে পরিচিত ভ্রমণগন্তব্য। সৈকতের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা পুরনো বাতিঘর, সারি সারি ঝাউগাছ, বঙ্গোপসাগরের জলরাশিতে নোঙর করা জাহাজ আর সূর্যাস্তের দৃশ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করছে প্রতিদিন।
শুক্রবার লাইট হাউজ সমুদ্রসৈকত উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আল আজাদের উদ্যোগে সড়ক সংস্কার, বসার বেঞ্চ, ছাতা, বিশ্রামকেন্দ্র, দোলনা স্থাপনসহ নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গ্রাম পুলিশের একটি বিশেষ দল নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।
পর্যটকদের দাবি, কুতুবদিয়ার সৌন্দর্য কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন বা কুয়াকাটার তুলনায় কম কোনো অংশে নয়। শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় প্রতিদিনই দ্বীপে পর্যটকের ঢল নামছে। কুতুব আউলিয়া মাজার, বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র, সিটিজেন পার্ক, ফকিরা মসজিদ, বড়ঘোপ ও কৈয়ারবিল সৈকত, শুঁটকি পল্লি, লবণ শিল্পসহ নানা দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা।
বাতিঘর সৈকতের দায়িত্বপ্রাপ্ত দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হোছাইন জানান, দিন দিন পর্যটক বাড়ছে। তাঁদের সুবিধার্থে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে, শুক্রবার উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিচারক, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে প্রশংসা করেন। স্থানীয়দের মতে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও টেকসই বেড়িবাঁধ নিশ্চিত হলে কুতুবদিয়া দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হবে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক