শিরোনাম
প্রকাশ: ০৮:৫৩, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কিংবদন্তি

সাঈদ খান
অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কিংবদন্তি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিস্তৃত পরিক্রমায় তিনিই সেই অনিবার্য ও অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব, যাঁকে উপেক্ষা করে ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। দমন-পীড়ন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নির্মমতা কিংবা ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ-কষ্ট-শোক—কোনো কিছুই খালেদা জিয়াকে দমিয়ে দিতে পারেনি।

তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন, নেতৃত্ব শুধু ক্ষমতার আসন নয়, তা জনগণের প্রতি অঙ্গীকার, ন্যায়ের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সংকটের মুখে দৃঢ় থাকার সাহস ও ধৈর্য ধারণ। অথই প্রতিকূলতার মাঝেও যে শান্ত, স্থির অথচ প্রবল প্রাণশক্তির বহিঃপ্রকাশ তিনি দেখিয়েছেন, সেটিই তাঁকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় স্তম্ভে পরিণত করেছে।

আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্রের যে শ্বাস-প্রশ্বাস ফিরে পাওয়া, এর পেছনে তাঁর দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম, ধৈর্য এবং অবিচল অবস্থানই সবচেয়ে উজ্জ্বলভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তাই ইতিহাসের বিচারে, সংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ে, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিটি স্রোতোধারায় তিনিই প্রধান কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব।

স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর ভূমিকা ছিল সংঘর্ষমুখী সাহস, কৌশলগত ধৈর্য এবং রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির এক বিরল সমন্বয়। তাঁর প্রত্যাখ্যানেই ভেস্তে যায় ওয়ান-ইলেভেনের ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা, তাঁর শক্ত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কিংবদন্তিঅবস্থানেই প্রশ্নবিদ্ধ হয় একদলীয় নির্বাচনের বৈধতা এবং তাঁর নেতৃত্বেই বিএনপি টিকে থাকে সবচেয়ে দীর্ঘ দমন-পীড়নের মধ্যেও।

রাষ্ট্রীয় শক্তির সব রকম ব্যবহার, আদালত-প্রশাসনের রাজনৈতিকীকরণ, বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, পরিবারকে টার্গেট করা—কোনো কিছুর সামনে তিনি ভেঙে পড়েননি। এই দৃঢ়তা, আপসহীন অবস্থান এবং গণতন্ত্রকে পুনর্নির্মাণের এই অবিচল লড়াই-ই তাঁকে ‘বিশেষ সম্মানিত ব্যক্তিত্ব’ মর্যাদায় ভূষিত করেছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে খুব কম নেতাই আছেন, যাঁদের উত্থান একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং তা একটি সময়ের দাবি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যার পর দেশ নেমেছিল নেতৃত্বশূন্যতার গভীর সংকটে।

বিএনপির অস্তিত্বই তখন প্রশ্নের মুখে। বিচারপতি আব্দুস সাত্তার দায়িত্ব নিলেও দলের জন্য প্রয়োজন ছিল এমন একজন নেতা, যিনি বহুমাত্রিক সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়ে দল, রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যেক ধরে রাখতে পারবেন।

এই শূন্যতার মুহূর্তেই খালেদা জিয়া সামনে এলেন। দলীয় নেতাদের আহ্বানে তিনি শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব নিলেন। ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ করে যখন তিনি রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করলেন, তার মাত্র তিন মাস পরই দেশ তলিয়ে গেল সামরিক অভ্যুত্থানের অন্ধকারে।

জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা দখল গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করে দিল, আর তার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই প্রবল ও স্পষ্ট অবস্থান নিলেন খালেদা জিয়া। এরশাদ যখন ‘এমএলআর ৮২’ নামে সামরিক ফরমান জারি করে বিরোধিতাকে সাত বছরের কারাদণ্ডযোগ্য অপরাধ ঘোষণা করলেন, তখনই স্পষ্ট হয়ে গেল—গণতন্ত্রের জন্য বড় লড়াই আসছে।

বিএনপিসহ বিরোধী দলের হাজারো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের মধ্যেও খালেদা জিয়া থামেননি। ১৯৮৩ সালের মার্চে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান। ১ এপ্রিল প্রথম বর্ধিত সভায় বক্তৃতায় তিনি জানিয়ে দিলেন—বিএনপি শুধু টিকে থাকবে না, লড়বেও। বিচারপতি সাত্তার অসুস্থ হলে দায়ভার আসে তাঁর কাঁধে। এ সময় থেকেই তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে উঠে আসেন। তাঁর উদ্যোগে গঠিত হয় সাত দলীয় ঐক্যজোট। ১৯৮৪ সালের ১০ মে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।

১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরল। খালেদা জিয়া শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিলেন—এই লড়াই শুধু ছাত্রদের নয়, গণতন্ত্রের। ১৯৮৪-৮৫ সালে বারবার গৃহবন্দিত্ব, গ্রেপ্তার, মামলার পরও তিনি সব কর্মসূচি অটলভাবে চালিয়ে গেছেন। ১৯৮৬ সালে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে তিনি আপসহীন অবস্থান নিলেন এবং সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় নির্বাচনে অংশ নিলেন না। ১৯৮৭ সালে শুরু হলো ‘এরশাদ হটাও’ এক দফার আন্দোলন, যা দেশব্যাপী আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রদল নেতা মাহবুবুল হক বাবলুর মৃত্যু আন্দোলনকে আরো উত্তাল করে তোলে। ১৯৮৮ সালের একতরফা নির্বাচন প্রতিরোধে তাঁর অবস্থান আবারও স্পষ্ট—চক্রান্তমূলক নির্বাচনের বৈধতা নেই।

১৯৯০ সালে ছাত্রনেতা জেহাদের শাহাদাতের পর ২৪টি ছাত্রসংগঠন নিয়ে গঠিত হয় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য। নূর হোসেনের শাহাদাতের পর আন্দোলন অগ্নিগর্ভ রূপ নেয়। খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে এই গণ-আন্দোলনই পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচার এরশাদ পতনের পথ প্রশস্ত করে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদ পদত্যাগ করে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের নেতৃত্বে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তাস্তর করেন।

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ১৪০টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব কটিতে জয়ী হন এবং জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের সমর্থনে সরকার গঠন করেন। ২০ মার্চ তিনি ৩২ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

পঞ্চম জাতীয় সংসদে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংবিধান সংশোধনী পাস হয়—একাদশ ও দ্বাদশ সংশোধনী। একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের সব কার্যক্রমকে বৈধ ঘোষণা করা হয় এবং নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর পুনরায় প্রধান বিচারপতির পদে ফেরার ব্যবস্থা রাখা হয়। দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনীর ফলে প্রবর্তিত রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে ১৯৭২ সালের সংসদীয় সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা হয় এবং উপরাষ্ট্রপতির পদ বিলুপ্ত হয়।

১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাঁচ দফা জাতীয় নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হন—চারবার পাঁচটি আসনে এবং একবার তিনটি আসনে জয়ী হয়ে বিশ্বরাজনীতিতেও এক অনন্য রেকর্ড গড়েন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন—সততা, দেশপ্রেম, উন্নয়ন ও গণমানুষের কল্যাণ খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন ও নেতৃত্বে প্রতিফলিত হয়েছে। রাজপথের দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি দলের আইকন হয়ে ওঠেন। দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও উৎপাদন এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষাই তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের মূল ভিত্তি। তিনি বিশ্বাস করেন, গণতন্ত্র ছাড়া কোনো দেশ বা জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি স্টেট সিনেট তাঁকে ‘গণতন্ত্রের যোদ্ধা’ উপাধিতে ভূষিত করে।

দলের নেতৃত্বেও তিনি গণতান্ত্রিক চর্চার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন—যোগ্যতা ও কাজের ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচন, কমিটি গঠন এবং যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি সবার মতামত গুরুত্বসহকারে শোনেন ও তা বাস্তবায়ন করেন। একবার সিদ্ধান্ত নিলে তা থেকে তিনি পিছিয়ে আসেন না, যার প্রমাণ তাঁর রাজনৈতিক জীবনে নানা মিথ্যা মামলা, কারাবাস ও নির্যাতন সহ্য করেও আপসহীন অবস্থান। তাঁর মতে, ‘বাংলাদেশ ভালো থাকলে, আমি ভালো থাকি’ এবং ‘এ দেশই আমার ঠিকানা’। জনগণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, গণতন্ত্র রক্ষায় তাঁর মতো আপসহীন আর অদ্বিতীয় নেই।

অর্থনীতিতে তাঁর বড় অবদানগুলোর মধ্যে রয়েছে মুক্তবাজার অর্থনীতির সূচনা, আয়করের হার ৫৫ থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং শুল্ককাঠামো সহজকরণ। ব্যাবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নে আমদানি শুল্ক সাত ধরনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়। তাঁর আমলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, মধ্যপাড়ার শ্বেতপাথর খনি, ভোলা, বঙ্গোপসাগর ও দিনাজপুরে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যায়।

শিল্প ও কর্মসংস্থানে বিশেষ অগ্রগতি ঘটে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পে প্রথম পাঁচ বছরে কর্মসংস্থান ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং প্রায় দুই লাখ নারী এতে যুক্ত হন। তিনি জাতিসংঘে গঙ্গার পানিবণ্টন ইস্যু উত্থাপন করেন এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মায়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করেন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি জাতিসংঘে উত্থাপন করেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে হোয়াইট হাউসে বক্তব্য দেন। তাঁর নেতৃত্বে মায়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তিও বাস্তবায়িত হয়।

নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ২০০৫ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় তাঁর স্থান হয় ২৯তম। সব মিলিয়ে খালেদা জিয়া রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ও প্রভাবশালী ভূমিকা রেখেছেন।

বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন, মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, দূরশিক্ষণ পদ্ধতি, নারীশিক্ষার ব্যাপক প্রসার, নারীদের জন্য এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন, ইপসা প্রতিষ্ঠা, নকল প্রতিরোধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার উদ্যোগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক উন্নতি, কৃষি আধুনিকায়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়ন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

নারীর আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধিতে সহজ শর্তে ঋণ প্রকল্প, আনসার-ভিডিপি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেন। স্বাস্থ্য খাতে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালের শয্যা বৃদ্ধি এবং ৯০ শতাংশ মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেন।

তিনি বিচার বিভাগ স্বাধীনকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেন, জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বাড়ান এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় গঠন করেন। পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন ব্যাগ ও দুই স্ট্রোক বেবিট্যাক্সি নিষিদ্ধ করেন এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালান। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ, পাহাড়ি ও উপজাতীয় উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করেন।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনা সমর্থিত জরুরি অবস্থা জারি হয় এবং ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ সরকার গঠিত হয়। এই সরকার দুর্নীতি দমনের নামে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ বাস্তবায়নের চেষ্টা চালায়, যেখানে বিএনপি ও জিয়া পরিবার ছিল মূল টার্গেট।

৭ মার্চ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এপ্রিল মাসে খালেদা জিয়াকে জোর করে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ হলে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। এরপর তাঁকে কার্যত গৃহবন্দি করা হয় এবং তাঁর দুই ছেলে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন। সেপ্টেম্বরে খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময় মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়াকে বহিষ্কার করে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে মহাসচিব নিয়োগ দেন তিনি।

কারাগারে থেকেও খালেদা জিয়া দলীয় নেতৃত্ব বজায় রাখেন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি মুক্তি পান, কিন্তু তৎকালীন সরকারের গোপন সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি না থাকা সত্ত্বেও কেবল গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে নেতৃত্ব দেন। তবে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৯টি আসন পায়।

২০০৯ সালের পর মহাজোট সরকার বিএনপি ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানি শুরু করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি গৃহবন্দি, জেল, উচ্ছেদ, মিথ্যা মামলার মুখোমুখি হয়েছেন; ছোট ছেলে কোকোর মৃত্যু ও বড় ছেলে তারেক রহমানের দীর্ঘ নির্বাসন সহ্য করেছেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যা আন্তর্জাতিক মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেয়। পরবর্তী সময়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আরো সাত বছরের সাজা হয়। অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘদিন তাঁকে বন্দি রাখা হয় এবং বিদেশে চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পরদিন রাষ্ট্রপতির আদেশে খালেদা জিয়ার শাস্তি মওকুফ ও মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। মুক্তির পরদিন ৭ আগস্ট বিএনপির মহাসমাবেশে তিনি অংশ নেন। দীর্ঘদিন আটক থাকা নেতাকর্মীরা মুক্তি পেয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ফলে বিএনপি পুনরায় শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশের স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রের উত্তরণের অগ্নিবারুদ লড়াই-সংগ্রামে যাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য, তিনি খালেদা জিয়া। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের আলো জ্বালিয়ে রাখা এক অদম্য নেত্রী, যিনি গণমানুষের আশ্রয়স্থল ও প্রত্যাশার বাতিঘর।

লেখক : যুগ্ম সম্পাদক, কালের কণ্ঠ

বিডি প্রতিদিন/নাজিম

এই বিভাগের আরও খবর
দম ফুরিয়ে আসছে, বাঁচার উপায় কী
দম ফুরিয়ে আসছে, বাঁচার উপায় কী
দ্বীপ, দূষণ এবং আমরা
দ্বীপ, দূষণ এবং আমরা
সুন্দরবন, বিরল সম্পদ সম্ভার ও স্যালাইন ম্যানগ্রোভ মৃত্তিকা
সুন্দরবন, বিরল সম্পদ সম্ভার ও স্যালাইন ম্যানগ্রোভ মৃত্তিকা
সুস্থ হয়ে উঠুন দেশনেত্রী
সুস্থ হয়ে উঠুন দেশনেত্রী
ভয়মুক্ত ভোটের নিশ্চয়তা সেনাবাহিনীর ভূমিকায় গণতন্ত্রের নিরাপত্তা
ভয়মুক্ত ভোটের নিশ্চয়তা সেনাবাহিনীর ভূমিকায় গণতন্ত্রের নিরাপত্তা
ব্যাংকিং খাতে প্রয়োজন ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স
ব্যাংকিং খাতে প্রয়োজন ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স
৩০ বছরের বন্দর চুক্তি : লাভ না ঝুঁকি?
৩০ বছরের বন্দর চুক্তি : লাভ না ঝুঁকি?
তারেক রহমান আসবেন বীরের বেশে
তারেক রহমান আসবেন বীরের বেশে
কপ১১ বৈঠকে তামাক নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞানভিত্তিক নীতির দাবি জোরদার
কপ১১ বৈঠকে তামাক নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞানভিত্তিক নীতির দাবি জোরদার
বেগম খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অনুপ্রেরণা
বেগম খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অনুপ্রেরণা
তারেক রহমানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কেন প্রয়োজন
তারেক রহমানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কেন প্রয়োজন
চব্বিশের ধাক্কা যে শিক্ষা দিল
চব্বিশের ধাক্কা যে শিক্ষা দিল
সর্বশেষ খবর
এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের সাথে নবাগত এসপির মতবিনিময়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের সাথে নবাগত এসপির মতবিনিময়

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষক–কৃষাণীদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষক–কৃষাণীদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি

১৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাগ রপ্তানি শুরু করলো আরএফএল
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাগ রপ্তানি শুরু করলো আরএফএল

১৭ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

দেশের চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে নীতিমালা মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ করলো ব্রিটিশ কাউন্সিল
দেশের চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে নীতিমালা মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ করলো ব্রিটিশ কাউন্সিল

২৫ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

একযোগে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি এনসিপির ৪০ নেতাকর্মীর
একযোগে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি এনসিপির ৪০ নেতাকর্মীর

২৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

বড়াইগ্রামে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা
বড়াইগ্রামে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঐশ্বরিয়া আমার সত্য জানে, আমি তার: অভিষেক
ঐশ্বরিয়া আমার সত্য জানে, আমি তার: অভিষেক

৪০ মিনিট আগে | শোবিজ

তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস

৪২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা সাজিয়ে বিসিএস ক্যাডার, সেই কামাল ও তার পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা সাজিয়ে বিসিএস ক্যাডার, সেই কামাল ও তার পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

৪২ মিনিট আগে | নগর জীবন

সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তফসিলের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
তফসিলের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টাঙ্গাইলে খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া মাহফিল
টাঙ্গাইলে খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া মাহফিল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দম ফুরিয়ে আসছে, বাঁচার উপায় কী
দম ফুরিয়ে আসছে, বাঁচার উপায় কী

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ধানের শীষ বিজয়ী হলে দেশে উন্নয়ন হয়: আনিসুল হক
ধানের শীষ বিজয়ী হলে দেশে উন্নয়ন হয়: আনিসুল হক

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর পরীক্ষার আসন দেখতে বাধা, রামদা উচিয়ে যুবকের মহড়া
স্ত্রীর পরীক্ষার আসন দেখতে বাধা, রামদা উচিয়ে যুবকের মহড়া

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত
বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করল বুলগেরিয়ার সরকার
বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করল বুলগেরিয়ার সরকার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু
লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনি আবারও হুংকার দিলেন
খামেনি আবারও হুংকার দিলেন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের বিক্ষোভ
কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁয় ভোক্তা অধিকারের অভিযান
চট্টগ্রামে কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁয় ভোক্তা অধিকারের অভিযান

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ১৭ পরিবারকে ৮৩ লাখ টাকার চেক প্রদান
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ১৭ পরিবারকে ৮৩ লাখ টাকার চেক প্রদান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শিশু উদ্ধারে ১৮ ঘণ্টা পার, গর্ত খোঁড়া শেষে চলছে সুরঙ্গ করার কাজ
শিশু উদ্ধারে ১৮ ঘণ্টা পার, গর্ত খোঁড়া শেষে চলছে সুরঙ্গ করার কাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক উপদেষ্টা আসিফ যোগ দিচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদে: রাশেদ খান
সাবেক উপদেষ্টা আসিফ যোগ দিচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদে: রাশেদ খান

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গভীর নলকূপে আটকে শিশু সাজিদ, মায়ের হৃদয়বিদারক আকুতি
গভীর নলকূপে আটকে শিশু সাজিদ, মায়ের হৃদয়বিদারক আকুতি

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে হত্যা, জানা গেল কারণ
মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে হত্যা, জানা গেল কারণ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাঠ প্রশাসন পুরো অদলবদল
মাঠ প্রশাসন পুরো অদলবদল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তিতে লটারির ফল প্রকাশ, জানা যাবে যেভাবে
স্কুলে ভর্তিতে লটারির ফল প্রকাশ, জানা যাবে যেভাবে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ মিনিটের ব্যবধানে সিলেটে দুইবার ভূমিকম্প
৫ মিনিটের ব্যবধানে সিলেটে দুইবার ভূমিকম্প

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

৩০ ফুট গভীরে ক্যামেরা পাঠিয়েও শিশুটিকে দেখতে পায়নি ফায়ার সার্ভিস
৩০ ফুট গভীরে ক্যামেরা পাঠিয়েও শিশুটিকে দেখতে পায়নি ফায়ার সার্ভিস

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গলায় পোড়া দাগ’ ছিল একমাত্র ক্লু, যেভাবে পুলিশের জালে আয়েশা
‘গলায় পোড়া দাগ’ ছিল একমাত্র ক্লু, যেভাবে পুলিশের জালে আয়েশা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাল থেকে কর্মবিরতি, মেট্রোরেলে যাত্রী সেবা বন্ধের ঘোষণা
কাল থেকে কর্মবিরতি, মেট্রোরেলে যাত্রী সেবা বন্ধের ঘোষণা

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্কুলে ভর্তির লটারি আজ, ঘরে বসেই দেখা যাবে ফল
স্কুলে ভর্তির লটারি আজ, ঘরে বসেই দেখা যাবে ফল

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মহিবুল হাসানকে প্রত্যাহার
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মহিবুল হাসানকে প্রত্যাহার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বর্তমান সরকারে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে আসিফ মাহমুদ’
‘বর্তমান সরকারে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে আসিফ মাহমুদ’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

'আল্লাহ আমার ছাওয়ালের মরা মুখটাও দেখালা না রে'
'আল্লাহ আমার ছাওয়ালের মরা মুখটাও দেখালা না রে'

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেস সেক্রেটারি লেভিটকে প্রশংসায় ভাসালেন ট্রাম্প
প্রেস সেক্রেটারি লেভিটকে প্রশংসায় ভাসালেন ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যানার-ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যানার-ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিন উপদেষ্টাকে আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের দফতর বণ্টন
তিন উপদেষ্টাকে আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের দফতর বণ্টন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানের ড্রোন নকলের অভিযোগ
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানের ড্রোন নকলের অভিযোগ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জনপ্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিবসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
জনপ্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিবসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমান যেদিন পা দেবেন, সেদিন যেন দেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল
তারেক রহমান যেদিন পা দেবেন, সেদিন যেন দেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এ মাসেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন : ইশরাক
এ মাসেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন : ইশরাক

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা : গৃহকর্মী ৬ দিন, স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে
মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা : গৃহকর্মী ৬ দিন, স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাজ করতে গিয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর শত্রুতে পরিণত হয়েছি: আসিফ মাহমুদ
কাজ করতে গিয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর শত্রুতে পরিণত হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাজে যোগ দিলেন সেই চিকিৎসক
কাজে যোগ দিলেন সেই চিকিৎসক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'তফসিল ঘোষণার পর রাস্তায় নামলে কঠোরভাবে দমন করা হবে'
'তফসিল ঘোষণার পর রাস্তায় নামলে কঠোরভাবে দমন করা হবে'

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কড়া নিরাপত্তায় আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের অনুপ্রবেশ
কড়া নিরাপত্তায় আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের অনুপ্রবেশ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অর্থের বিনিয়মে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কাজের অনুমতি দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন
অর্থের বিনিয়মে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কাজের অনুমতি দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১১ ডিসেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১১ ডিসেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
এমন খাবার দেওয়া হতো, যা পশুপাখিকেও দেওয়া হয় না
এমন খাবার দেওয়া হতো, যা পশুপাখিকেও দেওয়া হয় না

পেছনের পৃষ্ঠা

চুরি ধরতে চাওয়ায় মা-মেয়ে খুন
চুরি ধরতে চাওয়ায় মা-মেয়ে খুন

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশি পাহারায় সচিবালয় ছাড়েন অর্থ উপদেষ্টা
পুলিশি পাহারায় সচিবালয় ছাড়েন অর্থ উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দোলনের সঙ্গী হচ্ছে প্রতিপক্ষ
আন্দোলনের সঙ্গী হচ্ছে প্রতিপক্ষ

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিন ভিসায় আসছে নয়া বিধি
মার্কিন ভিসায় আসছে নয়া বিধি

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সবার নজর ইসির দিকে
সবার নজর ইসির দিকে

প্রথম পৃষ্ঠা

এখনই মাঠে নেমে পড়ুন নইলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে
এখনই মাঠে নেমে পড়ুন নইলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি ট্রেনের গন্তব্য যেন ফেব্রুয়ারিই হয়
নির্বাচনি ট্রেনের গন্তব্য যেন ফেব্রুয়ারিই হয়

সম্পাদকীয়

নড়াইলে হাড্ডাহাড্ডি বিএনপি জামায়াত
নড়াইলে হাড্ডাহাড্ডি বিএনপি জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রতি মাসে নিখোঁজ ১৫ নারী-শিশু
প্রতি মাসে নিখোঁজ ১৫ নারী-শিশু

প্রথম পৃষ্ঠা

পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফ
পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফ

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে তৃতীয় দেশে পাঠানোর তথ্য নেই
হাসিনাকে তৃতীয় দেশে পাঠানোর তথ্য নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে ৫০ ফুট গভীর গর্তে দুই বছরের শিশু
রাজশাহীতে ৫০ ফুট গভীর গর্তে দুই বছরের শিশু

প্রথম পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটে বন্দি
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটে বন্দি

প্রথম পৃষ্ঠা

শত শত নিরীহ ও মুক্তিকামী মানুষকে জেলখানায় হত্যা
শত শত নিরীহ ও মুক্তিকামী মানুষকে জেলখানায় হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচন স্মরণীয় করে রাখতে হবে
আগামী নির্বাচন স্মরণীয় করে রাখতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যথাসাধ্য চেষ্টা
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যথাসাধ্য চেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভিন্নমত ও নারীদের হেনস্তার প্রবণতা উদ্বেগজনক
ভিন্নমত ও নারীদের হেনস্তার প্রবণতা উদ্বেগজনক

প্রথম পৃষ্ঠা

খিচুড়ি খাওয়া কেন্দ্র করে ফাঁকা গুলি রেস্টুরেন্টে
খিচুড়ি খাওয়া কেন্দ্র করে ফাঁকা গুলি রেস্টুরেন্টে

পেছনের পৃষ্ঠা

পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান সেনাপ্রধানের
পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী, চোখ অন্য দলের বিদ্রোহীদের দিকে
১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী, চোখ অন্য দলের বিদ্রোহীদের দিকে

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা এনপিপির
১৪০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা এনপিপির

নগর জীবন

ক্যাপিটাল ড্রামায় জোভান-তটিনী
ক্যাপিটাল ড্রামায় জোভান-তটিনী

শোবিজ

নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে শঙ্কা
নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকা ও চট্টগ্রামে পতাকামিছিল
ঢাকা ও চট্টগ্রামে পতাকামিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠ প্রশাসন পুরো অদলবদল
মাঠ প্রশাসন পুরো অদলবদল

নগর জীবন

দৃশ্যমান সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দৃশ্যমান সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

পেছনের পৃষ্ঠা

তেজগাঁও কলেজে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু
তেজগাঁও কলেজে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

আইজিপি বাহারুল আলমকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার চেয়ে হাই কোর্টে রিট
আইজিপি বাহারুল আলমকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার চেয়ে হাই কোর্টে রিট

নগর জীবন