মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার হয়েছিলেন মো. কামাল হোসেন। তবে এখানে তিনি করেছিলেন বড় জালিয়াতি। কোটা সুবিধা পেতে তিনি মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা সাজিয়েছিলেন।
এবার কামাল ও তার মা-বাবা ও চাচা-চাচীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এই আদেশ দেন।
কামাল হোসেন ছাড়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্যরা হলেন তার বাবা আবুল কাশেম, মা মোছা. হাবীয়া খাতুন, চাচা মো. আহসান হাবীব এবং চাচী মোছা. সানোয়ার খাতুন ওরফে মোছা. শাহানারা খাতুন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদকের পক্ষে উপ-সহপরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এই আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আদালতে করা ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী সচিব) মো. কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জালিয়াতির আশ্রয় নেন। তিনি তার জন্মদাতা পিতা মো. আবুল কাশেম ও গর্ভধারিণী মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব এবং চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে নিজের পিতা-মাতা হিসেবে উপস্থাপন করেন। এর মাধ্যমে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে চরম প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, মামলার আসামি মো. কামাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি মো. কামাল হোসেনসহ তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট এই ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা একান্ত প্রয়োজন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল