গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে জীবিত ফিরে পেতে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে উদ্ধারকর্মীরা। উদ্বেগে কাটিয়েছেন স্বজনরাও।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত, রাত পেরিয়ে পরদিন সকাল- তবুও শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নিখোঁজ শিশু সাজিদ ওই গ্রামের রাকিব উদ্দীনের ছেলে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালেও ঘটনাস্থলের কাছে এসে সন্তানকে ফিরে পেতে আহাজারি করতে থাকেন মা রুনা খাতুন। তার কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ।
তিনি বুক চাপড়ে বলতে থাকেন- আল্লাহ, আমার সন্তানকে নিয়ে যেও না। আমার সন্তানকে অনেক কষ্ট করে বড় করেছি। আমাকে সাজিদকে আরও বড় করতে দাও। আমার শিশুকে আমার বুকে ফিরিয়ে দাও, আল্লাহ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে সকাল গড়াতেই ঘটনাস্থলে শত শত উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে, বুধবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক দফা নলকূপের প্রায় ৩০ ফুট গভীর গর্তে ক্যামেরা নামায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে উপরে পড়ে থাকা মাটি ও খড়ের কারণে শিশুটিকে দেখা সম্ভব হয়নি। একই দিন দুপুরে শিশুটির কান্নার শব্দ শোনা গেলেও এরপর আর কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবুও থেমে নেই ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খান বলেন, ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজে নিয়োজিত আছে। গর্ত তৈরি করার পর এখন সুরঙ্গ খোঁড়া হচ্ছে। এরপর সুরঙ্গ দিয়ে মইয়ের সাহায্যে শিশুর কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। আল্লাহ যেন শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ