নড়াইলে তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত দুটি সংসদীয় আসন। দীর্ঘদিন ধরে আসন দুটি আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও এখন তারা মাঠে না থাকায় পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার দুই আসনেরই দখল নিতে চাইছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। ভোটের মাঠ খতিয়ে ধারণা পাওয়া গেছে, এবার এখানে বিএনপির সঙ্গে লড়াই হবে জামায়াতের। এ লড়াই হাড্ডাহাড্ডি পর্যায়েও যেতে পারে।
নড়াইল-১ : সদরের একাংশ এবং কালিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। জামায়াতের প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) এস এম সাজ্জাদ হোসেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা আবদুুল আজিজ।
নড়াইল-২ : লোহাগড়া উপজেলা-সদরের একাংশ নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম। জামায়াতের প্রার্থী জেলা আমির ও অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা তাজুল ইসলাম। গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী নুর ইসলাম।
নড়াইল-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্বাচনি এলাকায় নিয়মিত মিছিল, মিটিং, সমাবেশসহ গণসংযোগ
করছি। ভোটারদের থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। দল যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে দলের প্রতিশ্রুতিসহ অবহেলিত কালিয়ার সার্বিক উন্নয়ন ঘটাব।’ জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার বলেন, ‘নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত কালিয়া গড়ব। আমাদের নীতি ও আদর্শের প্রতি জনগণ ব্যাপক সাড়া দিচ্ছে। আশা করছি বিজয়ী হব ইনশাল্লাহ।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী লে. কর্নেল (অব.) এস এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘জাতীয় সংসদের ভোটে অংশ নিয়ে আমি তৃণমূল গণমানুষের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ও জনগণের উন্নয়নে নিজেকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করতে চাই।’ নড়াইল-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিএনপির নীতি ও আদর্শ প্রচার করছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে মাঠে ময়দানে কাজ করছি। ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে নিয়মিত গণসংযোগ, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়া এবং সভাসমাবেশে যোগ দিচ্ছি। আমরা বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
মাঠের তথ্যানুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারে বসে নেই কোনো পক্ষ। শোডাউনের পাশাপাশি প্রচার চালানো হচ্ছে। প্রার্থীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিজের ও দলের পক্ষে সভাসমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কুশলবিনিময় ও ভোট প্রার্থনা করছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে ভোট নিয়ে জমে উঠেছে হাটবাজার ও শহর-গ্রাম-গঞ্জ।