ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ’ করেছে বলে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ-নিযুক্ত এক তদন্তে জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের ভেনেজুয়েলা বিষয়ক স্বতন্ত্র আন্তর্জাতিক তথ্য-উপাত্ত অনুসন্ধান মিশনের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনী ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড (জিএনবি) প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরোধীদের নিপীড়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে— যা মানবতাবিরোধী অপরাধ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জিএনবি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রাণনাশ, নির্বিচারে আটক, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, নির্যাতন ও অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অপমানজনক আচরণে লিপ্ত হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৪ সাল থেকে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে এবং লক্ষ্যভিত্তিক রাজনৈতিক নিপীড়নের অংশ হিসেবে তারা এসব করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব নির্যাতনের স্থায়িত্ব ভেনেজুয়েলার দায়বদ্ধতা ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কাঠামোগত ব্যর্থতার প্রতিফলন, যা আরও গভীরভাবে দায়মুক্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।
প্রতিবেদনটি এমন এক সময় প্রকাশ হলো, যখন ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া কোরিনা মাচাদো নরওয়ে সরকারের আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার অসলো থেকে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। এর একদিন আগে অনুপস্থিত থেকে তিনি পুরস্কার গ্রহণ করেন। মাদুরোর ক্ষমতা আঁকড়ে ধরা চ্যালেঞ্জ করায় নোবেলজয়ী মাচাদো ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে হত্যার হুমকির পর আত্মগোপনে ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং বহু লাতিন আমেরিকান দেশ বিশেষ করে ২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফলকে স্বীকৃতি দেয়নি; ওই নির্বাচনে মাদুরো তৃতীয় মেয়াদে ছয় বছরের জন্য ক্ষমতায় আসীন হন। বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছে। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/একেএ