বঙ্গোপসাগরে সফল ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বার্ষিক সমুদ্র মহড়া গতকাল শেষ হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত এ মহড়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইন সুইপার, পেট্রোলক্রাফট, মিসাইল বোটসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাহাজ এবং নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট, হেলিকপ্টার এবং বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়া বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম সংস্থাগুলো এ মহড়ায় অংশ নেয়। বিভিন্ন ধাপে পরিচালিত এ মহড়ার উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর মধ্যে নৌবহরের বিভিন্ন রণকৌশল অনুশীলন, সমুদ্র এলাকায় পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরক্ষা মহড়াসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। চূড়ান্ত দিনের মহড়ার উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ হতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, শোল্ডার লঞ্চড সারফেস টু এয়ার মিসাইল ফায়ারিং, অ্যান্টি এয়ার র্যাপিড ওপেন ফায়ারিং, রকেট ডেপথ চার্জ ফায়ারিং, ইউএভি অপারেশন, নৌকমান্ডোদের মহড়া হেলিকপ্টার ভিজিট বোর্ড সার্চ অ্যান্ড সিজার ও নৌযুদ্ধের বিভিন্ন রণকৌশল।
আইএসপিআর জানিয়েছে, নৌবাহিনীর এ বার্ষিক মহড়ার মূল লক্ষ্য সমুদ্র এলাকায় দেশের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, সমুদ্র সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ, সমুদ্র পথের নিরাপত্তা বিধানসহ চোরাচালানরোধ, জলদস্যুতা দমন, উপকূলীয় এলাকায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সমুদ্র এলাকায় পাহারা নিশ্চিত করা। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানের আমন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ থেকে সমাপনী দিবসের মহড়া প্রত্যক্ষ করেন। এ ছাড়া নৌবাহিনীর এ মহড়ায় অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা দেশের সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকারও প্রশংসা করেন।