১০ দলের ২ লেগ মিলিয়ে পেশাদার ফুটবল লিগে ১৮ ম্যাচ। প্রথম লেগে পাঁচটি করে খেলা শেষ হয়েছে। তাই কারা যে নতুন মৌসুমে লিগ জিতবে তা বলার সময় আসেনি। তবে এটা বলা যায়, নতুন চ্যাম্পিয়নের সম্ভাবনা ক্ষীণ। শিরোপা জেতা দুই ক্লাব শেখ জামাল ধানমন্ডি ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র গত মৌসুম থেকে ফুটবলই খেলছে না। তিন চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী, বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা মোহামেডান লিগ খেলছে। আর এর মধ্যে আবাহনীই পেশাদার লিগে সর্বোচ্চ ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটি এবার স্পর্শ করতে পারে বসুন্ধরা কিংস। ২০১৮-১৯ মৌসুমে অভিষেকের পর কিংস টানা পাঁচবার লিগ জিতে ইতিহাস গড়েছে। গতবার মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
পাঁচ ম্যাচ যাওয়ার পর পারফরম্যান্স বিচার করলে কিংসকে এগিয়ে রাখা যায়। পাঁচ ম্যাচে তারা উদ্বোধনী ম্যাচে পিডব্লিউডির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করার পর বাকি চার ম্যাচই জিতেছে। এক ড্র আর চার জয়ে তারাই সর্বোচ্চ ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। সমান ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে রহমতগঞ্জ। শেষ পর্যন্ত পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি শিরোপা রেসে থাকবে কি না সেটাও বড় প্রশ্ন। গতবারও শুরুর দিকে দুইয়ে ছিল রহমতগঞ্জ। শেষ পর্যন্ত পজিশন নিচের দিকে নেমেছে। ফর্টিস এফসি পাঁচ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে।
কিংসের সঙ্গে এবার এগিয়ে যাওয়ার কথা আবাহনীর। প্রায় সমমানের দলও গড়েছে তারা। অথচ এখনই ১০ পয়েন্ট নষ্ট করে ফেলেছে আবাহনী। মোহামেডানও ৮ পয়েন্ট নষ্ট করেছে। চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান ও রানার্সআপ আবাহনী নিজেদের চেনাতে না পারলেও কিংস রয়েছে কিং রূপেই। বিশেষ করে শেষ দুটি ম্যাচে তারা ছিল দুরন্ত। রহমতগঞ্জকে ৫-০ আর ব্রাদার্সকে ১-৫ গোলে হারায়। ম্যাচ যত গড়াচ্ছে ততই ভয়ংকর হয়ে উঠছে কিংস। সামনে তাদের মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচ। এখানে জয় এলে প্রথম লেগে শীর্ষে থাকা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে কিংসের। ষষ্ঠ শিরোপার পথে ভালোভাবে এগোচ্ছে তারা। রহমতগঞ্জ মাত্র তিন পয়েন্ট পেছনে থাকলেও তা ফ্যাক্টর হওয়ার মতো নয়। মোহামেডান ৮ ও আবাহনী এখনই তাদের চেয়ে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে, এটাই কিংসের বড় স্বস্তি।