মিয়ানমারে সোমবার রাতে আঘাত হেনেছে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্যানুযায়ী, মিয়ানমারের সর্বশেষ এ ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল দেশটির উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে। আর এর গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার। মিয়ানমারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটির তীব্রতা কম হলেও ধারাবাহিক কম্পনের কারণে মিয়ানমারে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে। -এএনআই
কারণ দেশটি চারটি সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় বেশ ভূমিকম্পপ্রবণ। সেখানে যে কোনো সময় বড় মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। এর আগে সোমবার দিনে ৩ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। ওই ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। এর পরই আফটারশকের ঝুঁকি ছিল। ভূমিকম্প ও সুনামির ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার অন্যতম। দেশটি চারটি সক্রিয় টেকটোনিক প্লেট-ভারতীয়, ইউরেশীয়, সুন্ডা ও বার্মা প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি। প্রায় ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ট্রান্সফর্ম ফল্ট রেখা আন্দামান স্প্রেডিং সেন্টার থেকে উত্তরের সংঘর্ষ অঞ্চলের দিকে বিস্তৃত হয়ে তৈরি করেছে সাগাইং ফল্ট। এএনআই জানায়, এ সাগাইং ফল্টই মিয়ানমারের সাগাইং, মান্দালে, বাগো ও ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের ভূমিকম্প-ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। এ চার অঞ্চলে মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৬ শতাংশ বসবাস করে। যদিও ইয়াঙ্গুন ফল্ট লাইনের থেকে তুলনামূলক দূরে, তবু ঘনবসতির কারণে ঝুঁকি অনেক বেশি। এর আগে এ বছরের মার্চে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৪ মাত্রার দুটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে মধ্য মিয়ানমারের বিশাল অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। -এএনআই