ভারী বর্ষণের কারণে গতকাল গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার তাঁবু প্লাবিত হয়েছে। রাত পোহানোর আগেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এতে ভূখণ্ডের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের বহু তাঁবু পানিতে তলিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী এবং মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু তাঁবুর মধ্যে পানির উচ্চতা ৪০ সেন্টিমিটারের বেশি হয়েছে। ফলে তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলো মারাত্মক দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে। এ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ইতোমধ্যে চরম মানবিক সংকটে থাকা ফিলিস্তিনিদের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এক ভিডিও বিবৃতিতে বর্তমান খারাপ আবহাওয়ার কারণে একটি আসন্ন মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, গাজায় শুক্রবার পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানা গেছে। বাসাল আরও উল্লেখ করেছেন, গাজার ২৪ লাখ বাসিন্দার জন্য যে পরিমাণ সাহায্যের প্রয়োজন, বর্তমানে সেখানে প্রবেশ করা সাহায্য সামগ্রী তার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং তীব্র বাতাসের সঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছে শক্তিশালী ঝড় ‘বায়রন’। এতে উপত্যকার লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নতুন দুর্যোগের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আলজাজিরা। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস সতর্ক করে দিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ দুর্যোগের মুখে পড়তে পারেন গাজাবাসী। -আলজাজিরা
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অগণিত ফিলিস্তিনি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জীর্ণ তাঁবুতে বসবাস করছেন। তাদের যন্ত্রণাদায়ক অবস্থার কোনো শেষ দেখা যাচ্ছে না। সরকারি মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজা উপত্যকা বিরূপ আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে, যাতে তাঁবু এবং অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসকারী হাজার হাজার পরিবার দুর্যোগের মুখে পড়তে পারে। এমনিতেই তীব্র ঠান্ডা ও ঝড় থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই আশ্রয়স্থলগুলোতে।