ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপজুড়ে বন্যা ও ভূমি ধসে প্রাণহানি বেড়ে ৮০০ ছাড়িয়েছে বলে গতকাল দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে।
তাদের সর্বশেষ তথ্যে ৮০৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে আর ৬৫০ জনের বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ। এ ছাড়া তিনটি প্রদেশে এ দুর্যোগে ৫ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। উদ্ধারকাজ ও অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বন্যায় উত্তর সুমাত্রা ও পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে তাপানুলি ও সিবোলগা এলাকা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেখানে সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না। সরকারি ও আন্তর্জাতিক সহায়তা আকাশ ও জলপথে পাঠানো হলেও অনেক প্রত্যন্ত গ্রামে এখনো কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। ফলে খাদ্য ও পানির তীব্র সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই দোকান ভাঙচুর ও খাদ্য লুটের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে। সুমাত্রায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সহায়তা পৌঁছানোর আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, অনেকেই ঘরবাড়ি ছাড়তে চাইছে না। -এএফপি
কারণ বন্যা থেমে যাওয়ার পরও ঘর, ফসল ও যানবাহন কাদামাটিতে ঢেকে গেছে। পশ্চিম সুমাত্রার রাজধানী পদাং থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের সুংগাই নিয়ালো গ্রামে এখনো রাস্তা পরিষ্কারকাজ শুরু হয়নি, বাইরের কোনো সাহায্যও পৌঁছায়নি। চরম দুর্যোগের এ পরিস্থিতিতে যোগাযোগব্যবস্থা সচল রাখতে কৌশলগত সহায়তা হিসেবে বিনামূল্যে স্টারলিংক সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। -এএফপি