উত্তরবঙ্গে বিশেষ ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের বরেন্দ্র অঞ্চল প্রাচীন প্লাইস্টোসিন যুগের পললে গঠিত। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অধিকাংশ এলাকা এ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। খরাপ্রবণ এলাকা এটি। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশের বৃহত্তর কৃষিভিত্তিও বটে। কৃষিই এখানকার অর্থনীতির প্রাণভোমরা। কিন্তু দীর্ঘদিন ভূগর্ভস্থ পানি নির্বিচারে, অপরিকল্পিতভাবে তোলায় এবং উপরিস্থ পানির উৎস সংরক্ষণ ও সংস্কার না করে বরং ধ্বংস করায়- এলাকার কৃষি নিদারুণ সংকটে পড়েছে। গতকাল এ দৈনিকের খবর- বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নেমে যাচ্ছে। তার প্রভাব পড়ছে জমির উপরিভাগে। দেখা দিচ্ছে দীর্ঘ খরা। অতিরিক্ত নলকূপনির্ভরতা এবং ভূপৃষ্ঠের পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে এখন কৃষি, বসতভিটা এমনকি দৈনন্দিন জীবনে পানির সংকট তীব্র। এর মধ্যে সরকার এক নির্দেশনায় বলেছে, সেচ কিংবা কলকারখানার জন্য আর গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করা যাবে না। ভূগর্ভস্থ পানি তোলাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ বরেন্দ্র অঞ্চলে চাষাবাদের জন্য গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভের পানি তুলে কৃষকদের সরবরাহ করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৮ হাজার গভীর নলকূপ আছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে বছরে প্রায় ৪৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়, যা মূলত সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। অঞ্চলটি দেশের উত্তর-পশ্চিমের অন্যতম প্রধান কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী এলাকা। যেখান থেকে দেশে সেচে উৎপাদিত মোট বোরো ধানের ৩৫ শতাংশ এবং গমের ৬০ ভাগ সরবরাহ হয়। একসময় যা এক ফসলি জমি ছিল, এখন তা তিন ফসলিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ধান-গম ছাড়াও আম-পেয়ারা, কমলা-মাল্টা, সবজি-ডাল-মসলা, তেলবীজসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষক। খাদ্যনিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বরেন্দ্র অঞ্চল। এখন হঠাৎ সেচসুবিধা বিঘ্নিত হলে নিশ্চিত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে খাদ্যভান্ডারে। পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বরেন্দ্র ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমাতে, বিকল্প উৎস অন্বেষণ ও ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। এ ক্ষেত্রে বর্ষার পানি সংরক্ষণ হতে পারে কার্যকর সমাধান। বাড়ি, বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গ্রাম পর্যায়ে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, পুকুর-দীঘি-বিল পুনঃখনন এবং খাল-নালার সংযোগ পুনরুদ্ধার করলে বছরজুড়ে সেচ ও গৃহস্থালির কাজে প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া সম্ভব। মূলত বর্তমান ভূপ্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে ভূগর্ভের পানি তোলা বন্ধ করা যেমন জরুরি, কৃষিসহ প্রাত্যহিক জীবনে পানির আবশ্যকতাও প্রশ্নাতীত। এ দুইয়ের সমন্বয় করা প্রয়োজন। এ নিয়ে প্রাণ-প্রকৃতি বিশেষজ্ঞসহ সব অংশীজনের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা ও সুবিবেচনায় লাগসই, কল্যাণকর কর্মপন্থা গৃহীত হোক।
শিরোনাম
- মাদকের টাকার জন্য নিজের ঘরে আগুন দিল যুবক
- তানজানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, দুই হাজারের বেশি নিহত
- লালবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
- এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
- মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
- তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
- সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
- ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
- জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
- রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
- মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
- লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু
- চীন-ভারতসহ কয়েকটি দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ মেক্সিকোর
- বরিশালে গণতান্ত্রিক যুক্ত ফ্রন্টের মতবিনিময় সভা
- লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনায় এআই প্রযুক্তি নতুন অধ্যায়ের সূচনা : প্রধান উপদেষ্টা
- বালিয়াকান্দিতে মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান
- এক নজরে তফসিল
- ফ্ল্যাট জালিয়াতি : টিউলিপের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
- তফসিল ঘোষণায় যা বললেন সিইসি
বরেন্দ্রে পানিসংকট
লাগসই কর্মপন্থা নেওয়া হোক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
দেশের চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে নীতিমালা মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ করলো ব্রিটিশ কাউন্সিল
৪৫ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার
মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা সাজিয়ে বিসিএস ক্যাডার, সেই কামাল ও তার পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন