ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। নিবন্ধিত দল ‘বাংলাদেশ কংগ্রেস’-এর পক্ষে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি করেন। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি শিকদার মাহমুদ রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। রিট আবেদনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ডিসি-ইউএনও নিয়োগ না দিয়ে জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি পদোন্নতির ব্যবস্থা করে জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নির্বাচন কমিশন সচিব নিয়োগ না দিয়ে নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশন সচিব নিয়োগ দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে মর্মেও রুল চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শুনানির পর হাই কোর্ট যদি রুল জারি করেন, তবে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
রিটে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন ও পরিচালনা করবে। আর নির্বাচন পরিচালনায় কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা দেবে নির্বাহী বিভাগ। কিন্তু কমিশনের নিজস্ব জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা থাকার পরও নির্বাচনের সময় ডিসিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনওকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এর ফলে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নির্বাহী বিভাগের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, যা সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এ কারণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পরিবর্তে ডিসি ও ইউএনওকে রিটার্নিং কর্মকর্তা-সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত এবং অবৈধ।