ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সংস্কার, একচেটিয়া সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ এবং মুঠোফোন উন্মুক্ত আমদানির সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সার্ক ফোয়ারা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন মুঠোফোন ব্যবসায়ীরা। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
গতকাল বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর তাঁরা সড়কে কিছু কাঠ ও বাঁশের টুকরা জড়ো করে আগুন ধরিয়ে স্লোগান দেন। এদিকে গতকাল মোবাইল ফোনের গ্রে মার্কেটের ব্যবসায়ীসহ সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর থেকেই কার্যকর হবে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন বা এনইআইআর। তবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে আনা ফোনগুলো আগামী মার্চ পর্যন্ত বিক্রি করা যাবে, এই সময়ের পরে আর কোনো অবৈধ ফোনকে নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে দেওয়া হবে না। সরকারের এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে মুঠোফোন ব্যবসায়ীরা কারওয়ান বাজার এলাকায় সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিং আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। একই ধরনের বিক্ষোভ করা হয় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনেও। গ্রে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের’ (এমবিসিবি) সদস্যরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
তারা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের পদত্যাগ দাবি করেন।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভের ফলে হঠাৎ বিপাকে পড়েন পথ চলতি মানুষ। বিক্ষোভরত ব্যবসায়ীরা সোনারগাঁও ক্রসিংয়ে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে দেন। এ সময় তারা বিআরটিসির একটি দোতলা বাস ভাঙচুর করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিফিকেশন রেজিস্টার’ বা এনইআইআর পদ্ধতির বিরোধিতা করে কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ করছেন ব্যবসায়ীরা। এনইআইআর চালু হলে দেশে অবৈধ পথে আসা ফোনগুলো আর ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাবে অবৈধভাবে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা পুরোনো ফোনের ব্যবসাও। আগামী ১৬ ডিসেম্বর দেশে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে এনইআইআর। মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের এই বাধ্যবাধকতা কার্যকর হওয়ার পর কেবল সরকার অনুমোদিত বৈধ হ্যান্ডসেটই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারবে।