আর্থিক ক্ষতির কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক ১৯টি বেসরকারি ডিপোর মালিকরা রপ্তানি ও খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিং না করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে গতকাল বৈঠকের পর ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) নেতৃবৃন্দ এ তথ্য জানান। বন্দর ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার থেকে পণ্য রপ্তানি ও খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডিপো মালিকরা। যদিও এ নিয়ে আগে থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে বিষয়টি জানাজানি হলে দেশের রপ্তানি সেক্টরে উদ্বেগ তৈরি হয়। কারণ বন্দরের আশপাশে গড়ে ওঠা বেসরকারি ডিপোগুলো বন্দরের শতভাগ রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিং করে থাকে। রপ্তানি পণ্য প্রথমে ডিপোতে এনে স্টাফিং করা হয়। এরপর তা বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় জাহাজীকরণের জন্য। বিকডা মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার জানান, আর্থিক ক্ষতির কারণে ডিপো মালিকদের পক্ষে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য বৈঠক থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ এক মাস সময় নিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিপো মালিকরা এক মাসের জন্য কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বিকডা নেতৃবৃন্দ কর্মসূচি এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সম্মত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, বেসরকারি ডিপোগুলো রপ্তানি ও খালি কনটেইনারের ওপর চার্জ বাড়িয়েছিল। তবে আইনি জটিলতায় তারা বর্ধিত চার্জ আদায় করতে পারছে না।