নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশনের দাতব্য চক্ষু হাসপাতালের পর এবার চালু হতে যাচ্ছে নিজাম-হাসিনা জেনারেল হাসপাতাল। মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্সের কর্ণধার সাবেক এমপি মো. নিজাম উদ্দিন অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য এই হাসপাতাল স্থাপন করেছেন। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। গতকাল ভোলার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমদ অনানুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল চালুর ঘোষণা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফয়সাল আবেদীন রাকিব।
এই হাসপাতালে এর আগে বিনা মূল্যে চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া হতো। এখন থেকে কার্ডিওলজি, মেডিসিন, শিশু ও গাইনি বিভাগে স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। গরিব, অসহায় ও দুস্থদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং সামর্থ্যবানদের জন্য ন্যায্যমূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের মাধ্যমে প্রতিদিনই এখানে সর্বনিম্ন খরচে সব ধরনের ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করানো হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতিদিন সকাল-বিকাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেম্বারে মেডিসিন, ডায়াবেটিস, গাইনি, শিশু, চর্ম ও যৌনরোগ, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, গ্যাস্ট্রোলজি ও অন্যান্য বিভাগের সেবা মিলবে। গরিব রোগীদের জন্য প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর বিশেষ সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা, ব্লাড প্রেশার মাপা ও প্রাইমারি হেলথ চেকআপ করা হয়।
নিজাম হাসিনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন জানান, মানবসেবার এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে হাসপাতালটি জেনারেল বিভাগ চালুর মাধ্যমে চিকিৎসাসেবার পরিধি আরও বাড়িয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলার মানুষের কাছে আধুনিক চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১ এপ্রিল চার একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ১৫ বছরে লক্ষাধিক চক্ষু অপারেশন এবং ৫ লাখের বেশি রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে। ভোলার চরফ্যাশনেও হাসপাতালের একটি শাখা চালু রয়েছে।