বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক (এফওসি) আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব ও পশ্চিম) মো. নজরুল ইসলাম, আর অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্র এবং বাণিজ্যসংক্রান্ত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক প্রথম সহকারী সচিব সারাহ স্টোরি। বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে। এ ছাড়া নির্বাচন, অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট, সামুদ্রিক নিরাপত্তাসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানান, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ এফওসিতে নির্বাচন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, কৃষি, ব্লু-ইকোনমি, জ্বালানি, আইসিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মানুষে মানুষে যোগাযোগ, অভিবাসন, ভিসা সহজীকরণ, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণে সহায়তাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ছাড়া মানবাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সংকট, সফর বিনিময়, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত, কাউন্টার টেররিজম, ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনে (আইওআরএ) সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক ও বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ প্ল্যান নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হতে পারে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের দিক থেকে হয়তো পাচার হওয়া অর্থ ফেরত, বিনিয়োগ চাওয়া, সফর বিনিময়, অভিবাসন এবং অস্ট্রেলিয়ার কারিগরি ও উচ্চশিক্ষার (টিএএফই) মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হবে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া মানবাধিকার, নিরাপদ অভিবাসন বিশেষ করে অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশিদের প্রবেশ বন্ধ, ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন ও ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ প্ল্যানের মতো বিষয়ে গুরুত্ব দিতে পারে।
এদিকে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে বিগত সরকারের আমলে অস্ট্রেলিয়ায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর বিষয়টি। সেখানে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। সেই লক্ষ্যে এশিয়া/প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি) গ্রুপের সদস্য অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী ঢাকা।