শীতকাল মানেই প্রকৃতির মন-ভোলানো রূপ, কিন্তু এর ঠান্ডা বাতাস এবং শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা শুষে নিয়ে ত্বককে করে তোলে শুষ্ক, নিস্তেজ এবং টানটান। তবে, ভয় পাবেন না! সঠিক পরিচর্যা রুটিন এবং কিছু কৌশল অবলম্বন করলে, আপনি সারা ঋতুজুড়েই পেতে পারেন কোমল, উজ্জ্বল ও ঝলমলে ত্বক।
শীতে ত্বকের যত্নের আসল ভিত্তি
শীতের রুক্ষতার বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র- আর্দ্রতা। শুষ্ক ত্বকে হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলো আর্দ্রতার চুম্বকের মতো কাজ করে। এটি ত্বকের গভীরে জলকে আবদ্ধ রাখে, যা শুষ্ক বাতাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী স্তর তৈরি করে। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে যেমন জামাকাপড় ‘স্তর’ হিসেবে কাজ করে, ঠিক তেমনি ত্বকের গভীরে আর্দ্রতার স্তর দরকার।
পরিষ্কারের নতুন কৌশল
শীতকালে ত্বক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে আনুন এক নতুন পদ্ধতি- ‘ড্রাই ক্লিনজিং। এটি ত্বকের অপরিহার্য প্রাকৃতিক তেল না সরিয়েই পরিষ্কার করার এক উদ্ভাবনী কৌশল। প্রচলিত জল-নির্ভর ক্লিনজার- যা ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে, তার বিপরীতে ড্রাই ক্লিনজিংয়ে পুষ্টিকর তেল বা বালাম ব্যবহার করা হয়। এটি আলতোভাবে ময়লা ও মেকআপ সরিয়ে আর্দ্রতা ধরে রাখে।
♦ উপকারিতা : এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বজায় রেখে শুষ্কতা এবং জ্বালা-পোড়া প্রতিরোধ করে। এমনকি এটি সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি আদর্শ, যা আপনার ময়েশ্চারাইজিং রুটিনের জন্য ত্বককে প্রস্তুত করে তোলে। এক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজিং মধুযুক্ত মিল্ক ডিলাইটস ফেসওয়াশ আপনার ত্বককে বেশি আর্দ্র রাখে।
পুষ্টি ও প্রতিরক্ষা: ত্বকের ঢাল
শীতকালে ত্বকের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি। শিয়া বাটার এবং সমৃদ্ধ তেলযুক্ত পণ্য বেছে নিন, যা আর্দ্রতাকে আটকে রাখে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বককে নরম ও কোমল রাখে। মনে রাখবেন, শীতকালে সূর্যের তাপ কম বলে- ‘সূর্য’ কিন্তু নিরীহ নয়! এর ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে বাঁচতে দৈনন্দিন রুটিনে ভালো সানস্ক্রিন রাখুন। বাইরে বেরোনোর সময়, ব্যারিয়ার ক্রিম ব্যবহার করুন যা ঠান্ডা বাতাস ও রোদ থেকে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতাকে রক্ষা করবে।
ঠোঁটের যত্ন ও পুনরুজ্জীবন
শীতকালে ঠোঁট ফেটে যাওয়া খুবই সাধারণ। ঠোঁটকে নরম রাখতে এসপিএফ যুক্ত ময়েশ্চারাইজিং লিপ বালাম ব্যবহার করুন। এছাড়া, উজ্জ্বলতা ফেরাতে মৃদু এক্সফোলিয়েশন করুন- যা নিস্তেজতা দূর করবে।