শীতকাল মানেই নরম রোদ, কম ঘাম আর কিছুটা আরাম- এমনটাই ধারণা অনেকের। আর এই আরামদায়ক আবহাওয়ার সুযোগে অনেকেই সানস্ক্রিনকে ‘ছুটি’ দিয়ে দেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন- শীতের দিনে সানস্ক্রিন ভুলে যাওয়া ত্বকের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। কারণ সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি (ইউভি) রশ্মি কখনোই ছুটি নেয় না; তা শীত-গ্রীষ্ম একই শক্তিতে ত্বকে আঘাত করে।
শীতের রোদ কেন ‘নিরীহ’ নয়
শীতে সূর্যের আলো কোমল বলে মনে হলেও ইউভি রশ্মির তীব্রতা কিন্তু একই থাকে। এসব রশ্মি ত্বকের গভীর ডারমাল লেয়ার পর্যন্ত পৌঁছে কালচে দাগ, পিগমেন্টেশন, কোলাজেন ভাঙন এবং অকাল বয়সের লক্ষণ তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনিক সানস্ক্রিন ব্যবহার ত্বক রক্ষার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায়।
এসপিএফ : সুরক্ষার মূল বর্ম
ত্বক সুরক্ষায় SPF (Sun Protection Factor) হলো প্রথম মানদণ্ড। কমপক্ষে এসপিএফ ৩০-এর সান-স্ক্রিন ব্যবহার করা আবশ্যক। এটি যত বেশি, তত বেশি ইউভি রশ্মি প্রতিরোধ করা সম্ভব। উচ্চ এসপিএফ শীতেও ত্বককে দীর্ঘ সুরক্ষা দেয়।
সুরক্ষা ও পুষ্টি- একসঙ্গে
আজকাল সানস্ক্রিন ফর্মুলায় যোগ হচ্ছে নানান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শুধু ইউভি রশ্মির ক্ষতি কমায় না, বরং ফ্রি র্যাডিকেলের প্রভাবও দমন করে।
সাধারণত ভিটামিন সি ও ই- এই দুটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সানস্ক্রিনে বেশি দেখা যায়। এগুলো ত্বকের ক্ষত মেরামতে এবং ত্বক উজ্জ্বল রাখতে কার্যকর। পাশাপাশি সূর্যমুখী, রোজমেরি বা অ্যাভোকাডোর মতো প্রাকৃতিক নির্যাসও সানস্ক্রিনে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা ত্বককে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয়।
কোনটি উপযুক্ত?
বাজারে সানস্ক্রিন দুই ধরনের- ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল।
♦ ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন ত্বকে একটি স্তর তৈরি করে রশ্মিকে প্রতিফলিত করে; সংবেদনশীল ত্বকের জন্য উপযোগী।
♦ কেমিক্যাল সানস্ক্রিন রশ্মিকে শুষে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করে; অ্যাকনেপ্রবণ ত্বক বা মেকআপের নিচে হালকা টেক্সচার পছন্দ করলে এটি ভালো।
ত্বকের ধরন বুঝে সানস্ক্রিন বেছে নেওয়াও জরুরি। তৈলাক্ত ত্বকে জেল বা ম্যাট ফিনিশ, আর শুষ্ক ত্বকে হাইড্রেটিং ক্রিম-ভিত্তিক সানস্ক্রিন ভালো কাজ করে।