সকালে ময়েশ্চার লোশন দিলেন কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকাল না হতেই মসৃণ ত্বকে দেখা দিয়েছে শুষ্কতা। চিন্তার কিছু নেই। যেখানে বাজারের প্রোডাক্ট হার মানতে বাধ্য সেখানে ভেষজ ঔষধির কারিশমা দেখার মতো। প্রাচীনকাল থেকেই মহৌষধ হিসেবে ভেষজ উপাদান ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে; যা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল পুনরুদ্ধার করে ত্বককে করে সুন্দর।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। এটি ৯৫ শতাংশ পানিসমেত ভেষজ উপাদান। প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে অ্যালোভেরার নির্যাসে। আছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন ই-এর মতো সব উপাদান; যা ত্বককে ভিতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে ত্বককে রাখে পরিপুষ্ট এবং সুস্থ।
♦ ২ টেবিল চামচ টমেটোর রস এবং ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটি ত্বকে ৩ মিনিট ম্যাসাজ করে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি ধুয়ে ফেলুন।
ল্যাভেন্ডার
ত্বকের চমৎকার টনিক ল্যাভেন্ডার অয়েল। এই তেল ব্যবহারে ত্বকে প্রাকৃতিক তেল ফিরে আসে। ফলে ত্বক হয় কোমল, আর্দ্র এবং আকর্ষণীয়। ল্যাভেন্ডার ত্বকের রক্তসঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ত্বকে অক্সিজেন প্রবেশ করে।
♦ গরম পানি একটি পাত্রে নিয়ে তাতে ১২ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে পাত্রের ওপর মাথা ঝুঁকে ভারী তোয়ালে দিয়ে ঢেকে দিন। এই গরম পানির বাষ্প নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করুন।
ক্যামোমাইল
শুষ্ক ত্বকের যত্নে দারুণ উপকারী এই ভেষজ উপাদানে রয়েছে ফ্ল্যাবনয়েড; যা এ ধরনের ত্বকের ফাটা ভাব ও জ্বালাপোড়া রোধ করে। ত্বককে ঢেকে দেয় আর্দ্রতার প্রলেপে। নিয়মিত ব্যবহারে শুষ্ক ত্বকের টেক্সচার এবং ইলাস্টিসিটির উন্নতি হয়। এমনকি ত্বকে বয়সের ছাপ রুখতেও এর জুড়ি নেই। ত্বককে পরিবেশগত দূষণ থেকে দূরে রাখে। পিগমেন্টেশন, দাগছোপ সারাতে এর নির্যাস দারুণ কাজ করে।
মধু
১৮১ রকমের উপকারী ভেষজ উপাদান রয়েছে মধুতে। যার বেশির ভাগই ত্বকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। মধু ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও ত্বক পরিচর্যায় কাজ করে।
♦ মধু ও লেবুর রস পরিমাণমতো নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে মেখে ১৫-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।