‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা’—এমন মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
‘সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ’—গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সুজন আয়োজন করা এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় মুন্সীগঞ্জের উপকণ্ঠে আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতান্ত্রিক উত্তরণ, নির্বাচনের মানদণ্ড অনুসরণ, অংশীজনদের ভূমিকা, ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন, জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিস্তার—এসব বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী ও উন্মুক্ত আলোচনা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে গণতান্ত্রিক চর্চা এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে সুজন। নতুন ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারের প্রস্তাবিত ১১ দফা সংস্কার বাস্তবায়নসহ সারাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে নাগরিক ভাবনাগুলো বাস্তবায়নে সুজন কাজ করছে। অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে জেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন এবং নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন মুন্সীগঞ্জের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাহাঙ্গীর আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জানে আলম প্রিন্স।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন- সুজনের কেন্দ্রীয় কো-অর্ডিনেটর জিল্লুর রহমান, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী বিপ্লব হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন মানিক, সুজনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, রহমত উল্লাহ দেওয়ান, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের দফতর সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল