চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আমদানিনিষিদ্ধ এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘনচিনির চার হাজার ২০০ কেজি ওজনের একটি চালান জব্দ করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটি জব্দ করেন।
পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার পর বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে চালান জব্দের কথা জানায়।
এ নিয়ে তিন মাসের ব্যবধানে ঘনচিনির তিনটি চালান জব্দ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩টি চালানে ১০৪ টন ঘনচিনি রয়েছে।
বুধবার এনবিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার কেরানীগঞ্জের এজাজ ট্রেডিং চীন থেকে ‘পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড’ ঘোষণায় এক কনটেইনার পণ্য আমদানি করে। এই পণ্য বর্জ্যপানি পরিশোধনে ব্যবহৃত হয়। গত ২১ অক্টোবর চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে নামানো হয়, তবে চালানটি নিয়ে সন্দেহজনক তথ্য পেয়ে তা খালাস স্থগিত করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ৬ নভেম্বর কনটেইনার খুলে দুই ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। দুই ধরনের পণ্যের নমুনা চট্টগ্রাম কাস্টমসের ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়।
রাসায়নিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চালানটিতে ১৭ হাজার ৮০০ কেজি ‘পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড’ পাওয়া গেলেও বাকি ৪ হাজার ২০০ কেজি ঘনচিনি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
এনবিআর জানিয়েছে, ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকলেট, কনডেন্সড মিল্ক ও শিশুখাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই ক্ষতিকারক কৃত্রিম উপাদানটি ব্যবহার করে থাকে। ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘনচিনির দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য ক্যানসারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে।
এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ চালানের বিষয়ে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ও ২৮ অক্টোবর দুটি পৃথক চালানে ১০০ টন ঘনচিনির দুটি চালান আটক করে কাস্টমস হাউস। নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানি করায় কাস্টমস আইন অনুসারে পণ্যের চালানটি আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনিব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি