বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় চট্টগ্রামে একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল এবং একটি আধুনিক পার্ক নির্মাণের বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দলের মধ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত এই সভায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শিকদার, ৭ এডি ব্রিগেড কমান্ডার, এবং কর্নেল খলিল, কর্নেল অ্যাডমিন, চট্টগ্রাম এরিয়া।
সভায় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মানের একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা তুলে ধরে এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি বরাদ্দের বিষয়টি আলোচনা করেন।
তারা জানান, প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান—যা রোগীদের জন্য কষ্টসাধ্য এবং দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। প্রস্তাবিত হাসপাতালটি নির্মাণ হলে চট্টগ্রামবাসী স্বল্প ব্যয়ে স্থানীয়ভাবেই আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা পাবে। পাশাপাশি চসিকের কর্মচারীরা নামমাত্র মূল্যে কিংবা বিনামূল্যে সেবা পাবেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের মানুষের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী যে উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে—তা নগরবাসীর জন্য অত্যন্ত শুভ সংবাদ। একজন চিকিৎসক ও মেয়র হিসেবে আমি এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও জানান, কালুরঘাট বিএফআইডিসি সড়কের পাশে চসিকের প্রায় আট একর ভূমিতে হাসপাতালটি নির্মাণ করা সম্ভব।
এ সময় মেয়র জানান, বিএফআইডিসি রোডের অতিরিক্ত অবশিষ্ট ভূমিতে একটি আন্তর্জাতিকমানের টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে, যেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উদ্ভাবন ও পণ্য প্রদর্শন করতে পারবে। এতে চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা আরও বিস্তৃত হবে।
সার্কিট হাউসের সামনে অবস্থিত শিশু পার্কটির অবস্থা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, একসময় এটি ছিল নগরীর অন্যতম সুস্থ বিনোদন কেন্দ্র। বর্তমানে এটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। পার্কটি পুনর্নির্মাণ করে আধুনিক শিশু পার্ক, এমিউজমেন্ট পার্ক ও হাইটেক পার্কে রূপান্তর করা হলে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্য সুস্থ বিনোদন ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পার্কটি সম্পূর্ণ বিনোদনমূলক হবে। এখানে কোনো বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করা হবে না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সেনাবাহিনী ভূমি বরাদ্দে সহায়তা করলে চসিক প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে মেয়র আরও বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। যৌথভাবে কাজ করতে পারলে নগরীর স্বাস্থ্য, বিনোদন এবং বাণিজ্য খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল