চট্টগ্রামের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী এনি আক্তার। তাঁর বিয়ে হয় ১০ বছর আগে। কিন্তু তাদের কোনো সন্তান হয়নি। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমির চিকিৎসা গ্রহণ শুরু করেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে গত সোমবার বিকালে এক সঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন। রেসরকারি পিপলস হসপিটালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া সেই পাঁচ নবজাতক এখন সুস্থ আছে।
জানা যায়, ১০ বছর আগে এনি আক্তার ও সুমনের বিয়ে হয়। কিন্তু তাদের বাচ্চা হচ্ছিল না। পরে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমির পরামর্শে তাদের ইন্ট্রা-ইউটেরাইন ইনসেমিনেশনের (আইইউআই) ব্যবস্থা করা হয়। আইইউআই করে প্রথম মাসেই সফল হন এই দম্পতি। গত সোমবার বিকালে গৃহবধূ এনি এক সঙ্গে পাঁচটি সন্তান প্রসব করেন। পাঁচ নবজাতকের মধ্যে দুটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে। পাঁচটি শিশুই এখন সুস্থ আছে। তবে সাবধানতার জন্য নবজাতকদের পার্কভিউ হসপিটালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটা বাচ্চার ওজন ১৬০০ গ্রাম, একটি ১৫০০ গ্রাম, আরেকটি ১৪০০ গ্রাম এবং বাকি দুটি এক হাজার গ্রাম করে।
চমেক হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি বলেন, বিয়ের দশ বছর পরও ওই দম্পতির সন্তান হয়নি। আল্লাহর মেহেরবানিতে আইইউআই ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রথম মাসেই কনসিভ করেন ওই প্রসূতি। এরপর তিনি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে গর্ভকালীন সময় পার করেছেন। অবশেষে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাঁচ সন্তানের জন্ম হয়েছে। তবে বাচ্চাগুলো প্রিম্যাচ্যুর বেশি।
তিনি বলেন, আমরা সর্বশেষ আল্ট্রাতেও দেখেছি, তার চারটি বাচ্চা আছে। কিন্তু অস্ত্রোপচার শেষ করে চারটি বাচ্চা বের হওয়ার পর যখন শেষ করছিলাম, আশ্চর্যজনকভাবে দেখতে পাই আরও একটি বাচ্চা আছে। সবাই এখন সুস্থ। সাবধানতার জন্য তাদের একজন শিশু বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এনি আক্তারের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। তাঁর স্বামীর নাম ওয়াহিদুল ইসলাম সুমন। তিনি ব্যবসায়ী। বর্তমানে পাঁচ নবজাতককে রাখা হয়েছে পার্কভিউ হাসপাতালে এবং প্রসূতি এনি আছেন পিপলস হসপিটালে। পাঁচ নবজাতক ও তাদের মা সবাই এখন সুস্থ আছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল