সিলেটের বিশ্বনাথে রাস্তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত বিশজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্ঠা চালায়। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌছলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বল্লভপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাহিদ আলী ও খালিছুর রহমান গংদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে গ্রামের একটি রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। প্রায় ৩০ বছরের পুরনো অর্ধশতাধিক পরিবারের চলাচলের এ রাস্তাটি সম্প্রতি গ্রামের লোকজন নিয়ে পাকা করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী খালিছুর রহমান গং। অপর দিকে রাস্তার কিছু অংশ মালিকানা উল্লেখ করে, গেল ১লা ডিসেম্বর সিলেট আদালতে খালিছুর গংদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত জারি করেন ১৪৪ ধারা। এরপর ভোররাতে সাহিদ আলী পক্ষের লোকজন ভাড়াটে লোকসহ ওই রাস্তা ভাঙতে যায়। ককটেল, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে আতংস্ক সৃষ্টি করে রাস্তা ভাঙ্গা শুরু করে। পরে অপর পক্ষ লোকজন একত্রিত হয়ে তাদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে বিক্ষোব্ধ গ্রামবাসি সাহিদ আলীর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বসতঘর, একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাংচুর ও একটি পাওয়ার টিলারে অগ্নিসংযোগ করে।
খালিছুর রহমান পক্ষের দিলাল মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামবাসির ব্যবহারের এ রাস্তাটি দীর্ঘদিনের পুরনো। তিনি এ রাস্তা নিজের দাবী করে একাধিকবার মামলা-হামলা করিয়েছেন। সন্ত্রাসী গোষ্ঠি ভাড়া এনে পেট্রোল বোমা ফাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে রাস্তা গ্রতিগ্রস্ত করেন। পরে আমরা গ্রামবাসি মিলে দাওয়া দেই।
অভিযুক্ত সাহিদ আলী গণমাধ্যমকে জানান, ‘তারা (অপর পক্ষ) এর আগেও আমার জায়গা জবর দখল করতে চেয়েছিলো। আমি আইনি ব্যবস্থা নিতে চাইলে গ্রামবাসীর অনুরোধে বিরত থাকি। পরে আমি দেশে আসার আগেই তারা রাতের আঁধারে আমার জায়গাসহ রাস্তা পাকা করে। আজ আট ফুট রাস্তা রেখে আমার লোকজন আমার জায়গাসহ ডোবা ব্যবহার উপযোগি করতে গেলে সবাই মিলে হামলা করে। হামলা করা হয় আমার বাড়ি-ঘরেও।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের এসআই অনিক বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা এখনও ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম