জাকজমকপূর্ণভাবে হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার সকাল ১০টা ১ মিনিটে দুর্জয় হবিগঞ্জ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর হবিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর অনুষ্ঠিত হয় বিশাল র্যালি। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে র্যালি শুরু হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
এতে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন, হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, পুলিশ সুপার ইয়াছমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মঈনুল হক প্রমুখ। সভায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা তখনকার কঠিন সময়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, আজকের এই দিনে হবিগঞ্জ পাক হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে হবিগঞ্জ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করে এবং ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকিস্তানি সেনাসহ রাজাকাররা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরের দিন, ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ সদর থানার কম্পাউন্ডে বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় শহরবাসী বাংলার দামাল মুক্তিযোদ্ধাদের অভিবাদন জানান।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল