পক্ষপাক্ষিত্বের অভিযোগ এনে দল থেকে বাদ পড়ায় ভারতের এস ভেঙ্কটারামন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব পন্ডিচেরির (সিএপি) অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচকে মারধর করেছেন ক্রিকেটাররা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানান,ভেঙ্কটারামনের মাথায় ২০টি সেলাই ও কাঁধে ভাঙন ধরা পড়েছে। তবে তিনি ভালো আছেন।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, অভিযুক্ত তিন ক্রিকেটার কার্তিকেয়ন জয়াসুন্দরম, এ আরাভিন্দরাজ ও এস সান্থোষ কুমারান পলাতক। তবে গত ৮ ডিসেম্বর সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়। মারধরের সময় কোচ ভেঙ্কটরামণ সিএপি কমপ্লেক্সের ভেতরে ছিলেন।
ভেঙ্কটরামন দাবি করেছেন, দল বাদ পড়ার ক্ষোভে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে তাকে ব্যাট দিয়ে আঘাত করেছে। একই অভিযোগে ভারতীদাসন পুদুচেরি ক্রিকেটার্স ফোরামের সচিব জি চন্দ্রনকে উসকানির জন্য দায়ী করেছেন তিনি।
তবে ফোরাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ভেঙ্কটরামনের বিরুদ্ধে এর আগে স্থানীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ছিল এবং চন্দ্রনের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিরোধও রয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমে আরো দাবি করা হয়, পন্ডিচেরিতে জন্মগ্রহণ করা খেলোয়াড়দের সুযোগ সীমিত করতে ‘বাইরের ক্রিকেটারদের’ জাল নথি ব্যবহার করে স্থানীয় হিসেবে খেলানো হচ্ছে। ২০২১ সালের পর রঞ্জি দলে মাত্র পাঁচজন খেলোয়াড় পন্ডিচেরিতে থেকে জন্ম নিয়ে সুযোগ পেয়েছে। এতি ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন তারা।
বিসিসিআই সচিব দেবাজিত সাইকিয়া অভিযোগগুলোকে ‘গুরুতর’ উল্লেখ করে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে পুদুচেরি ক্রিকেটার্স ফোরাম অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, সব খেলোয়াড় বোর্ডের নীতিমালার মধ্যে থেকেই খেলছেন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান 'জিরো টলারেন্স'।
সেদারাপেট থানার এসআই এস. রাজেশ জানান, ঘটনার পর অভিযোগ ওঠা তিন ক্রিকেটার পলাতক রয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল