শীতের সময় তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতাও কমে যায়। ফলে এর প্রভাব সবচেয়ে আগে পড়ে ঠোঁটে। ঠোঁটের ত্বক অত্যন্ত কোমল হওয়ায় এই মৌসুমে তা দ্রুত শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। এ সময় ঠোঁট ফেটে যায়, রুক্ষ হয়ে পড়ে, কখনো কখনো ফেটে রক্তও বের হয়। তাই শীতে ঠোঁটের বিশেষ যত্ন নেওয়া শুধু সৌন্দর্যের জন্যই নয়, স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখার জন্যও জরুরি।
পর্যাপ্ত পানি পান
সারা দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করলে ঠোঁট ভেতর থেকে আর্দ্র থাকে এবং দ্রুত ফাটে না। তাই শীতে ঠোঁট ফাট রোধে পরিমিত পানি পান করা উচিত।
লিপবাম ব্যবহার
ঠান্ডা বাতাস ও রোদ-দুটোর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ঠোঁটকে সুরক্ষা দেয় লিপবাম। খুব সহজে লিপবাম সঙ্গে রাখা যায়। তাই ঠোঁটে শীতের হাওয়ার স্পর্শ অনুভব করার সঙ্গে সঙ্গেই আপনি লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগালে সারা রাত ঠোঁট নরম থাকে এবং ফাটার সম্ভাবনা কমে যায়। ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহারে লম্বা সময় পর্যন্ত যেমন ঠোঁটে স্থায়ী হয়ে থাকে, তেমনি ঠোঁটের গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনতেও সহায়তা করে।
প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার
মধু, অ্যালোভেরা জেল, নারকেল তেল বা শসার রস ঠোঁটে লাগালে শুষ্কতা কমে ও আর্দ্রতা দ্রুত ফিরে আসে।
ঠোঁট স্ক্রাব করুন
চিনি ও মধুর মিশ্রণ দিয়ে হালকা স্ক্রাব করলে মৃত চামড়া দূর হয় এবং ঠোঁট আরও কোমল হয়। তাই শীতে ঠোঁট কোমল রাখতে স্ক্রাব করা প্রয়োজন।
ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখুন
হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে ঘরের বাতাস আর্দ্র থাকে, যা ঠোঁট ফাটা কমায়। ঠোঁট ফাটা রোধে ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে।
ঠোঁট দিয়ে জিব ভেজাবেন না
শুকনো ঠোঁট জিব দিয়ে ভেজানোর অভ্যাস আছে আমাদের প্রায় সবারই। ঠোঁট শুকিয়ে গেলে জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো যাবে না। শুকনা ঠোঁট ভেজা রাখতে সঙ্গে লিপবাম রাখতে পারেন।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া