শীতকালে শুধু গরম খাবার নয়, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় টক দই রাখাও শরীরের জন্য সমান উপকারী। অনেকেই ভাবেন শীতে দই খাওয়া ঠিক নয়, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন সঠিক নিয়ম মেনে খেলে টক দই শীতেও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
তবে যাদের ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা বেশি, তারা কখনোই ফ্রিজের ঠান্ডা দই খাবেন না। আর যাদের এসিডিটি আছে, তারা খালি পেটে টক দই এড়িয়ে চলবেন। রাতের বেলাতেও টক দই খাওয়া নিষেধ।
কীভাবে খাবেন?
টক দই খাওয়ার সেরা উপায়—
- চিনির বদলে সামান্য লবণ দিয়ে
- ওটস, কর্নফ্লেক্স বা মুসলির সঙ্গে
- শসা মিশিয়ে রায়তা হিসেবে
- টক দই দিয়ে ঘোল বা শরবত
অল্প পরিমাণে নিয়মিত খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
টক দইয়ের স্বাস্থ্যগুণ
১. হাড় শক্ত করে, দূর করে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি
টক দই ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস। বিশেষ করে নারীদের শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকে—নিয়মিত টক দই খেলে সহজেই সেই ঘাটতি পূরণ হয়। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের প্রয়োজনও কমে।
২. ত্বক ও চুল রাখে সুস্থ
টক দইয়ের পুষ্টি ত্বককে উজ্জ্বল ও চুলকে নরম করতে সাহায্য করে। চুল পড়াও কমে।
৩. নিরামিষভোজীদের জন্য প্রোটিনের সহজ উৎস
টক দইয়ে থাকে প্রচুর প্রোটিন। যারা নিরামিষভোজী, তাদের জন্য এটি প্রোটিনের বিকল্প উৎস হিসেবে কার্যকর।
৪. হৃদযন্ত্র ভালো রাখে
নিয়মিত টক দই খেলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে এবং শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন–মিনারেল সরবরাহ হয়।
৫. ইমিউনিটি বাড়ায়, হজম শক্তি উন্নত করে
টক দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং হজমের নানা সমস্যাও দূর হয়।
সূত্র: এবিপি লাইভ
বিডি প্রতিদিন/মুসা