দেশের বাজারে বিদ্যমান অবিক্রীত সব মোবাইল হ্যান্ডসেট আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়মিতকরণের (তালিকাভুক্ত) বিশেষ বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গতকাল বিটিআরসিতে মোবাইল ফোন আমদানি ও ভেন্ডর লাইসেন্স তালিকাভুক্তিকরণ সহযোগিতার বিষয়ে বিটিআরসি ও মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সভায় মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি এবং ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সনদ প্রদানের বিদ্যমান প্রক্রিয়া কীভাবে সহজীকরণ করা যায় সে বিষয়ে বিশদ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক কোনো ইতিবাচক ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠকে কোনো ইতিবাচক ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে। অবৈধ ফোন বন্ধ এবং ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালুর বিষয়ে অনড় সরকার। আজ (১০ ডিসেম্বর) আবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি বৈঠকে বসবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এরপর পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান মোহাম্মদ আসলাম। এদিকে, গতকাল সকালে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, দেশে বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানিতে শুল্ক কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আদেশ পেলে বাস্তবায়ন করবে এনবিআর। শুল্কছাড় দেওয়া হলেও তা হবে স্বল্প সময়ের জন্য। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার। এর আগে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি কার্যালয়ে এনইআইআর সিস্টেম সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। মোবাইল ব্যবসায়ীদের দাবি, হ্যান্ডসেট নিবন্ধন বা এনইআইআর সিস্টেম এক বছর পর চালু করা হোক। কর ফাঁকি দিয়ে আনা ৫০ লাখের বেশি হ্যান্ডসেট শুল্ক দিয়ে বৈধ করার সুযোগ চান তারা। বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানিতে ৫৮ শতাংশ শুল্ক কমানোর দাবিও তাদের।
মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ এবং বিটিআরসি বলছে, বর্তমানে দেশের বাজারে প্রায় ৫০ লাখ অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেট রয়েছে। দেশের বাজারে অবৈধ মোবাইল ফোন ঠেকাতে বিটিআরসির পক্ষ থেকে এনইআইআর চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।