রাজধানীর আগারগাঁও ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দুটি পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল ভোরে ঘটনা দুটি ঘটে। দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগারগাঁও পাকা মার্কেট এলাকায় একটি সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের সাতজন দগ্ধ হন। দগ্ধ হয়েছেন- শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মো. জলিল মিয়া, তার স্ত্রী আরনেজা বেগম, ছেলে আসিফ ও সাকিব, আসিফের স্ত্রী মনিরা, নাতনি ইভা ও ফিরোজুল আলম।
দগ্ধ জলিল মিয়ার মেয়ের জামাই মো. আফরান জানান, রাতে টিনশেড বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ভোরের দিকে আরনেজা বেগম রান্নাঘরে গিয়ে ম্যাচ জ্বালাতেই টিনশেড বাসায় আগুন ধরে যায় এবং দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লে তারা দগ্ধ হন। এ সময় চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. হারুনুর রশীদ বলেন, জলিলের ১২ শতাংশ, আরনেজার ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাকিদের হাত-পা দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে মনিরা ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তারও হাত-পা দগ্ধ হওয়ায় চিকিৎসা দিয়ে গাইনি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ভোরে সোনারগাঁয়ের পাটাত্তা গ্রামে একটি বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। আলাউদ্দিন (৩৫), তার দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং তার মা জরিনা বেগম (৬৫)। আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, ভোরে রান্নাঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়লে ঘরে থাকা সবাই দগ্ধ হন। তার ধারণা, রান্নাঘরের গ্যাসচুলা থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, আলাউদ্দিনের ৪০ শতাংশ, শিফার ১২ শতাংশ, সিমলার ৩০ শতাংশ এবং জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।