বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। দীর্ঘ ১৭ বছর জনগণ প্রকৃত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে জনগণের পাশে দাঁড়ানো জরুরি।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের মূল শক্তি হলো জনগণ। জনগণ জেগে উঠলে কোনো শক্তিই তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার দমন করতে পারে না। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের পথ খুলে দেবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছর ধরে জনগণ আওয়ামী সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের মধ্যে ছিল। এ সময়ে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। যদি মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়, তাহলে নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ বিএনপিকে আবারও রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দেবে।
আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, প্রতিটি ঘরে ঘরে ধানের শীষের সালাম পৌঁছে দিতে হবে। তারেক রহমানের সালাম, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সালাম। ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
গণসংযোগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবুসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে লড়বেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি