বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা কয়েকটি স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক দলের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে এখন মিথ্যা অপপ্রচার আর ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডাই এসব দলের একমাত্র আশ্রয়। জনগণের সমর্থন অর্জন করতে না পেরে তারা এখন দিকভ্রান্ত।
মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের গারো পাহাড় ঘেষা গাবড়াখালি বাজারে এক নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন প্রিন্স।
এ সময় প্রিন্স বলেন, যাদের নিজেদের দলে ৩০০ আসনে দাঁড় করানোর মতো যোগ্য, জনপ্রিয় কোনো প্রার্থীই নেই-তারা আজ বিএনপির প্রার্থীদের ‘গডফাদার’ আখ্যা দেওয়ার মতো হাস্যকর এবং একইসাথে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। জনসমর্থন নেই বলেই এখন বিএনপিকে টার্গেট করে আলোচনা ও মিডিয়ায় থাকাই এখন তাদের প্রধান রাজনৈতিক কর্মসূচি।”
প্রিন্স অভিযোগ করে বলেন, নতুন গঠিত একটি ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দল রাজনীতির মাঠে অস্থিরতা ও বিভ্রান্ত করতে একজন “বেয়াদব লোককে” সামনে এনে বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি মনে করেন, বিএনপিকে মোকাবিলা করার সামর্থ্য না থাকায় এসব দল এখন অসত্য অভিযোগে ব্যক্তিগত আক্রমণ, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, জনগণ বিএনপিকে চেনে। জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং অতীতে দেশ ও জাতির কল্যাণে আপোষহীন ভূমিকার কারণে বিএনপি জনসমর্থিত ও জনসমাদৃত দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপির প্রতি অব্যাহত সমর্থন দিয়ে জনগণ ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে তারা ইতিবাচক রাজনীতির পক্ষে। বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরে এলে যারা মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত, তাদের রাজনীতি জনগণই প্রত্যাখ্যান করবে।
কনকনে শীতের মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় ঘেঁষা প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই জনপদে বিপুল সংখ্যক গারো নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে পথ সভাটি জনসভায় রূপ নেয়।
এতে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, সদস্য সচিব আবু হাসনাত বদরুল কবীর, গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাফেজ আজিজুল হক, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলীসহ দলের অন্যান্য সংগঠেনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত