তৃতীয় দিনেই শিরোপা উদ্যাপন করতে পারত রংপুর। করেনি। তাকিয়েছিল সিলেট-বরিশাল ম্যাচের ফলাফলের দিকে। সিলেট যদি জিতে যেত, তাহলে জাতীয় ক্রিকেটের ২৭তম আসরে শিরোপা জিতত। কিন্তু সিলেট ম্যাচের জন্য শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে রংপুরকে। সিলেট-বরিশাল ম্যাচ ড্র হওয়ায় সাত ম্যাচে ৩ জয়ে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জিতেছে আকবর আলীর রংপুর। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ সিলেট। জাতীয় ক্রিকেটের টি-২০ ফরম্যাটেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর। সপ্তম ও শেষ রাউন্ডে রংপুর এক দিন আগে ম্যাচ জিতেছে। ৭ উইকেটে হারিয়েছে খুলনাকে।
চ্যাম্পিয়ন রংপুর শেষ রাউন্ডে ম্যাচ খেলেছে বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে। খুলনা প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে। জবাবে রংপুর প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ১৭৪ রানে। ১৩৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে পেসার মুকিদুল ইসলামের গতিতে নাজেহাল হয়ে মাত্র ৯৬ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। টার্গেট দেয় ২৩১ রান। ইকবাল হোসেনের অপরাজিত ১১৪ রানের ভরে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে পূর্ণ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নেয় রংপুর। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে প্রথম ব্যাটিংয়ে ৩১২ রান করে বরিশাল। সিলেট ২৮৭ রান করে জবাবে। ২৫ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৯৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বরিশাল। সিলেটকে টার্গেট দেয় ৩১৯ রানের। সিলেট গতকাল শেষ দিন ধীরলয়ের ব্যাটিংয়ে সংগ্রহ করে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান। ড্র করায় সিলেট ও বরিশাল পয়েন্ট পায় ২ করে। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে ৬ রাউন্ড পর্যন্ত এগিয়ে থাকা সিলেট আসর শেষ করে ২৮ পয়েন্টে। ফলে রানার্সআপেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। বিপরীতে রংপুর জিতে ৩১ পয়েন্ট পেয়ে শিরোপা জয় করে। জাতীয় ক্রিকেটের দীর্ঘ পরিসরে এটা রংপুরের তৃতীয় শিরোপা।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাঁ-হাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের ঘূর্ণিতে রাজশাহী ১৪৬ রানে হারিয়েছে নবাগত ময়মনসিংহকে।
সানজামুল ৫টি করে ১০ উইকেট নেন ম্যাচে। রাজশাহীর উভয় ইনিংসে সংগ্রহ ছিল ২১৯ ও ৩৪৫। জবাবে ময়মনসিংহের সংগ্রহ ১৩৭ ও ২৮১ রান। এ জয়ে রাজশাহীর পয়েন্ট ১৮ এবং ময়মনসিংহের পয়েন্ট ২৪। মিরপুর স্টেডিয়ামে তিন সেঞ্চুরির ম্যাচে ঢাকা ইনিংস ও ১৮২ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রামকে। আশিকুর রহমান শিবলির ১০০, আনিসুল ইসলাম ইমনের ১৮৬ ও মার্শাল আইয়ুবের ১৬৫ রানে ভর করে ঢাকার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৫৪১ রান। জবাবে চট্টগ্রামের উভয় ইনিংসে সংগ্রহ ১৫৮ ও ১৯১ রান।