সকালের শুরুটা যদি হয় এক গ্লাস কিশমিশ ভেজানো পানি দিয়ে, তবে শরীর পায় নানা পুষ্টিগুণ। প্রাচীনকাল থেকেই কিশমিশকে শক্তিবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে ভেজানো কিশমিশের পানি আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক রাত ভিজিয়ে রাখা কিশমিশের পানি শরীরে দ্রুত আয়রন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শোষণে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ফাইবার ও প্রাকৃতিক সুগার থাকায় এটি শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয় এবং হজমশক্তি উন্নত করে।
নিয়মিত কিশমিশ ভেজানো পানি পানে যেসব উপকার পাওয়া যায়—
লিভার পরিষ্কার করে: এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করে লিভারকে সক্রিয় রাখে।
হজমশক্তি বাড়ায়: ভেজানো কিশমিশের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় ও হজমে সহায়তা করে।
রক্তশূন্যতা দূর করে: এতে থাকা উচ্চমাত্রার আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে শরীরকে আরও সুরক্ষা দেয়।
ত্বক উজ্জ্বল করে: কিশমিশ ভেজানো পানির ভিটামিন ও খনিজ ত্বকের পানিশূন্যতা রোধ করে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া