ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের জাহেদান শহরের সীমান্ত এলাকায় ‘সন্ত্রাসী হামলায়’ ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের জাহেদানের কাছে লার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।
আইআরজিসির এক বিবৃতিতে জানায়, রাজধানী তেহরানের প্রায় ১ হাজার ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে পাহাড়ি অঞ্চলে লার শহরের কাছে টহল দেওয়ার সময় গার্ড সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। তবে হামলায় কোনো গার্ড সদস্য আহত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি।
বিপ্লবী গার্ড ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত হামলাকারীদের তাড়া করছে, তবে তারা এখনও পলাতক। তবে হামলার জন্য কোনও গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের উর্মিয়া সীমান্ত দিয়ে এসব বিস্ফোরক, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ ইরানে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছিল বলে জানায় আইআরজিসি। জব্দ করা পণ্যগুলো দেশের অভ্যন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল ‘সন্ত্রাসীদের’। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানা শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন বিরোধী ও ‘অ্যান্টি-রেভল্যুশনারি’ গোষ্ঠীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তা-বিরোধী সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। আইআরজিসি বাহিনী ওই অঞ্চলে এরই মধ্যে অভিযান শুরু করেছে বলে জানা গেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে হামলাকারীদের খুঁজে বের করে মোকাবিলা করার অভিযান চলছে।’
পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসামরিক নাগরিক এবং নিরাপত্তা বাহিনী উভয়কেই লক্ষ্য করে ঘন ঘন সন্ত্রাসী হামলার সম্মুখীন হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ইরানি বাহিনীর ওপর হামলা চালানো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ‘বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা’র সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর তাফতান কাউন্টির গোহর কুহ জেলায় এক ভয়াবহ হামলায় ইরানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য নিহত হন। ওই হামলার দায় স্বীকার করে সশস্ত্র গোষ্ঠী জৈশ আল-আদল, যারা সিস্তান-বেলুচিস্তানজুড়ে বহুবার অপহরণ করার পাশাপাশি সীমান্তরক্ষী হত্যা, পুলিশ স্টেশন ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল