অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতনের পর প্রথম নির্বাচনে অংশ নিতে নেপালে ১১৪টি রাজনৈতিক দলকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন দলও রয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নেপালের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী বছরের ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে প্রতিনিধি সভার ২৭৫টি আসনের জন্য ১১৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন দলও রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নারায়ণ প্রসাদ ভট্টরাই জানান, ৩ কোটি মানুষের দেশটিতে ২০২৬ সালের ৫ মার্চের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ ভোটার তাদের নাম নিবন্ধন করেছেন। ভট্টরাই বলেন, আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করছি যে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার মতে, কর্মকর্তারা একটি ‘স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ’ নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
অনুমোদিত ১১৪ দলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ নতুন। যার মধ্যে গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর আলোড়ন সৃষ্টিকারী দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণ কর্মীদের নিবন্ধিত দলও রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা সেই আন্দোলনের সূচনা করলেও, অর্থনৈতিক সংকট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ আন্দোলনকে উসকে দেয়। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, নেপালের কর্মশক্তির প্রায় ৮২ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত, আর ২০২৪ সালে মাথাপিছু জিডিপি ছিল ১ হাজার ৪৪৭ মার্কিন ডলার।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। কেপি শর্মা অলি সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভে অন্তত ৫১ জন নিহত ও শত শত মানুষ আহত হওয়ার পর অলির নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। এরপরই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পথ সুগম হয়।
প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয় ২৮ বছরের নিচের তরুণদের সমন্বয়ে গঠিত ‘জেন জি’ প্রজন্ম। আন্দোলন দ্রুত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং পার্লামেন্ট ও সরকারি কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। যার ফলে একপর্যায়ে সরকারের পতন ঘটে। সহিংসতায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
বিডি প্রতিদিন/কামাল