সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, রাজনীতি একটা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে পরিণত হয়েছে। টেকসই গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকার দরকার।
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ‘সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ভয়েস নেটওয়ার্ক’ নামের একটি সংগঠন তাদের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। টেকসই গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকার দরকার। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ ও নির্বাচনি অঙ্গন পরিছন্ন না হলে টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। টেকসই গণতন্ত্রের পথ তৈরি না হলে মানুষ আবার রাস্তায় নামবে। আশা করি সেদিকে যেতে হবে না। তিনি আরও বলেন, রাজনীতি করলে অর্থের মালিক হওয়া নিশ্চিত। ক্ষমতার সঙ্গে জাদুর কাঠি সম্পৃক্ত। এই জাদুর কাঠিতে নির্বাচনের আগে হলফনামায় দেওয়া সম্পদের হিসাব ক্ষমতা শেষে দেখা যায় কয়েক গুণ বেড়েছে। প্রার্থীদের হলফনামা যাচাইবাছাই ও দলগুলোর আয়-ব্যয় তথা আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে না পারলে কোনো পরিবর্তনই আসবে না। তিনি বলেন, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে গণতান্ত্রিক উত্তরণে। এ বিষয়ে নজর দেওয়া না হলে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে টেকসই গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্ভব হবে না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রতিষ্ঠায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকারের ভূমিকা দৃশ্যহীন। তিনি উপদেষ্টা যারা নির্বাচন করতে পারে তাদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, রেফারি হয়ে গোল দিতে গেলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, বলেন, পেশিশক্তির প্রতি প্রশাসন ও পুলিশ সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করছে।
পেশিশক্তির লোকদের তারা স্যার স্যার করছে। ১৫-২০ দিন আগে দেওয়া গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ৬৭ শতাংশ ভোট কেন্দ্র এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য সরকার এখনো কোনো পরিবেশই তৈরি করতে পারেনি। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য দেন।