‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’ হলো স্টিভেন নাইট এর নির্মিত একটি ব্রিটিশ গ্যাংস্টার নাট্য টেলিভিশন ধারাবাহিক। ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের পটভূমিতে নির্মিত এই ধারাবাহিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরবর্তী সময়ে ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’ এর দলের অপরাধমূলক দলের কাহিনী উপস্থাপন করা হয়েছে।
এই কাল্পনিক দলটি বাস্তবে একই নামের একটি শহুরে তরুণ দলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যারা ১৮৯০-এর দশক থেকে ১৯১০ এর দশক পর্যন্ত শহরে সক্রিয় ছিল।
‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’র পোশাক পরার অভিযোগে আফগানিস্তানে চার তরুণকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আসগর হুসিনি, জলিল ইয়াকুবি, আশোর আকবরী ও দাউদ রাসা। তাদের বিরুদ্ধে ‘বিদেশী সংস্কৃতি’ প্রচারের অভিযোগ আনা হয়।
সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে সেই যুবকদের একটি গ্রুপ ছবি ভাইরাল হয়। গ্রেফতার হওয়া তরুণদের পরনে লম্বা কোট, ফ্ল্যাট ক্যাপ ও স্টাইল করা পোশাক; অবিকল যেন টিভি সিরিজটির শেলবি পরিবারের চরিত্ররা। নেটিজেনরা তাদের ‘জিব্রাইল শেলবি’ বলে অভিহিত করেন।
‘হেরাত মাইক’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে এই যুবকরা দাবি করেছিলেন যে, তারা মূলত সিরিজটির ফ্যাশনের প্রতি মুগ্ধতা থেকেই পোশাকটি পরেছেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন।
তবে তালেবানের পাপ ও পূণ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম খাইবারের ভাষ্য, যুবকদের এমন আচরণ ‘ইসলামী মূল্যবোধ ও আফগান সংস্কৃতির’ সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এছাড়া তিনি একটি ভিডিওও পোস্ট করেছেন, যেখানে সেই যুবকদের একজন অনুশোচনা করছেন।
খাইবার বলেন, ‘তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি, শুধু তলব করে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল এবং ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও তালেবানরা পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অনেককে আটক করেছে।
গত বছর তালেবানরা ‘সকল জীবন্ত জিনিসের’ (মানুষ ও প্রাণী) ছবি তোলা নিষিদ্ধ বলে একটি আইন পাস করার পরই একের পর এক নীতি পুলিশের ঘটনা সামনে আসছে।
যদিও তালেবান কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে সামাজিকমাধ্যমে মানুষের ছবি পোস্ট করছেন। তবে পাপ ও পূণ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম খাইবার সেই সময়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আইনটি সমগ্র আফগান সমাজের জন্য প্রযোজ্য হবে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল