ট্রাভেল পাশ চেয়ে আবেদন করার প্রায় এক মাস হতে চললেও দেশে ফেরার অনুমতি পাচ্ছেন না কানাডায় অবস্থানরত এক সময়ের তুখোর ছাত্র নেতা ও বরিশাল-২ আসনের সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভি।
এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে অভি বলেন, আমি বুঝতে পারছি না আমার সাথে কেন এমন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, গত ১৪ নভেম্বর দূতাবাসে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ট্রাভেল পারমিটের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানিয়েছেন ‘এটা উচ্চ পর্যায়ের সিন্ধান্ত’ আসেনি।
অভি বলেন, নিজের দেশে ফিরব। এখানে উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার কি আছে। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে দেশে ফেরার পর ব্যবস্থা নেয়া সুযোগ রয়েছে। যদি নির্বাচন করা নিয়ে সমস্যা থাকে, সেটাও বলুক জানিয়ে অভি বলেন, আমি দেশে ফিরতে চাই। প্রয়োজনে নির্বাচন করব না। দেশে ফেরা আমার প্রধান লক্ষ্য।
অভি বলেন, দেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পারমিট পাওয়া আমার সাংবিধানিক নাগরিক অধিকার। আশা করব আমার এই অধিকারের বিপরীতে গিয়ে নিশ্চয়ই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কারো রাজনীতির অংশ হবে না। আর বাংলাদেশে কোনো কিছুই অপ্রকাশিত থাকে না।
অভি জানান, তার নামে ইস্যুকৃত বাংলাদেশি পাসপোর্টটির মেয়াদ ২০০৬ সালে উত্তীর্ণ হয়ে যায়। ওই সময় বেশ কয়েকবার নির্ধারিত ফরম পূরণ করে লিখিত আবেদন করা হয়। কিন্তু অটোয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস তার পাসপোর্টটির নবায়ন করেনি। এ বিষয়ে তার আইনজীবী ২০১০ সালে হাই কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল হাই কোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তাকে দেশে ফেরার জন্য ট্র্যাভেল পারমিট ইস্যু করতে নির্দেশ দেয়। ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নির্দেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠালেও দূতাবাস তার (অভি) নামে ট্র্যাভেল পারমিট ইস্যু করেনি।
প্রায় দুই যুগ ধরে দেশের বাইরে থাকা অভি নব্বই দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। দলীয় কোন্দলে ১৯৯০ সালে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার হয়। ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির (আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর) বাইসাইকেল প্রতীক নিয়ে বরিশাল-২ (বাবুগঞ্জ-উজিরপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অভি। ২০০২ সালে দেশ ছাড়েন তিনি। এরপর থেকে কানাডায় বসবাস করছেন। দেশে না থাকলেও উজিরপুর উপজেলায় নানা উন্নয়নমূলক কাজ তিনি অব্যাহত রেখেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত