গাজীপুরের টঙ্গীতে বিআরটিএ প্রকল্পের উড়ালসড়কে একের পর এক ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীদের চলাচলে ব্যবহৃত সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামার প্রবেশপথে ইটের দেয়াল দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে ওই পথ দিয়ে ওঠা-নামা করতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন যাত্রীর অভিযোগ, প্রশাসন ছিনতাই রোধে ব্যবস্থা না নিয়ে মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে বেশ আলোচনায় রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, বিআরটিএ প্রকল্পের উড়ালসড়কে একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। সড়কে নেই বাতি, নেই সিসি ক্যামেরা, নেই পর্যাপ্ত পুলিশ ব্যবস্থা। সন্ধ্যা হলেই নেমে আসে অন্ধকার। শুরু হয় ছিনতাই। ছিনতাইকারীরা পথচারীদের সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে। আবার তাদের কাজে বাধা দিলে প্রাণও কেড়ে নিচ্ছে। ছিনতাইকারীদের হাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের স্টোরকিপার সিদ্দিকুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর ছিনতাই রোধে এলাকাবাসী ও বেশ কয়েকটি ছাত্রসংগঠন বিক্ষোভ করে। মাদক ও ছিনতাই রোধে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। পরে পুলিশ ছিনতাই রোধে উড়ালসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীদের চলাচলে ব্যবহৃত সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামার প্রবেশপথে ইটের দেয়াল দিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। এতে করে উড়ালসড়কে নামা যাত্রীরা সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় ভোগান্তির শিকার হন।
এ বিষয়ে এক যাত্রী রানা ও স্থানীয় বাসিন্দা হাজি মনির বলেন, পুলিশ ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে যাত্রীদের চলাচলে ব্যবহৃত সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামার প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে মানুষের কষ্ট বাড়ছে।
বাংলাদেশ ইয়ুথ রেভ্যুলেশন সংগঠনের মুখ্য সংগঠক সবুজ উদ্দিন ইকবাল বলেন, মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে এর সমাধান মিলবে না। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মহিউদ্দিন আহমেদের (অপরাধ, দক্ষিণ) সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে কয়েকটি স্থানের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিআরটিএ সড়কে বাতি দেয়নি, সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেনি, যে কারণে দুর্বৃত্তরা সুযোগ পাচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের জনবল কম থাকায় আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ দিতে পারছি না।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি