ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ ঘোষণার এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছেন।
মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্দোলনকারী আবির হোসেন।
এ সপ্তাহের রবিবার থেকে ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ দাবি ও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুর দাবি জানিয়ে শিক্ষাভবন মোড়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। গতকাল শিক্ষা উপদেষ্টা আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাদেশ ঘোষণার নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ না থাকায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আজ সকাল থেকে শিক্ষাভবন মোড়ে জড়ো হওয়ার কথা থাকলে তা প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা। পরবর্তী পদক্ষেপ জানাতে দুপুর আড়াইটা নাগাদ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে আবির বলেন, মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এক দফা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে গতকাল রাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এ সময়ের মধ্যে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতির আলোকে আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করে জানাবো।
তিনি বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে প্রায় দেড় বছর ধরে চলা আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামে আপনারাই ছিলেন অত্যন্ত কাছের মানুষ। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের এ সংগ্রাম শুধু বিগত দেড় বছরেরই নয়, এ সংগ্রাম ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকেই চলমান রয়েছে। আমরা এখন ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রয়েছি। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চলা দীর্ঘদিনের শোষণ-বঞ্চনার অবসান হবে। সুযোগ তৈরি হবে একটি গুণগত ও মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার। এখানে তৈরি হবে গবেষণার পরিবেশ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই