বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্র সংসদ বাকসুর নাম ব্যবহার করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নামকরণ করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কলেজের বাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজী সাইফুল বাসার বলেন, সম্প্রতি বিএম কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সাবেক ছাত্রনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। তখন উপাচার্য আশ্বাস দেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নাম হবে ববিকেছাস। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২তম সিন্ডিকেট সভায় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে ছাত্র সংসদের নাম বাকসু রাখা হয়।
সাইফুল বাসার বলেন, উভয় প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্রতা রক্ষায় আলাদা নামে ছাত্র সংসদ হওয়াই যৌক্তিক। একই নাম ব্যবহার করলে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে, ভুল ব্যাখ্যা ছড়াবে এবং ইতিহাস বিকৃত হবে।
শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে তিন দফা দাবি জানান—
১. বিশ্ববিদ্যালয় অবিলম্বে সিন্ডিকেটে অনুমোদিত বাকসু নাম বাতিল করবে;
২. বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের জন্য নতুন, স্বতন্ত্র নাম ঘোষণা করবে;
৩. বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের নাম নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় লিখিত অবস্থান জানাবে।
দাবি আদায় না হলে ‘দক্ষিণাঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষায়’ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাব্বির হোসেন বলেন, বাকসু হলো বিএম কলেজের ৭২ বছরের ঐতিহ্য। ১৯৯০ সালে নির্মিত বাকসু ভবনও এই ইতিহাসের অংশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই নাম ব্যবহার করে শান্ত বরিশালকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন