বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্র সংসদের “বাকসু” নাম নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন হয়নি। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষের ঘন্টাব্যাপি বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম, বিএম কলেজ অধ্যক্ষ ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম, ববি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল, বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ রাশেদুল ইসলাম, বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস আলী আজগর ফকির, এজিএস বিলকিস জাহান শিরিন, বিএম কলেজ ইংরেজি অ্যালামনাই সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক, ছাত্র সংসদের সাবেক নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিনসহ অন্যান্যরা।
বিএম কলেজের প্রতিনিধিরা জানান, ৭২ বছর ধরে ব্রজমোহন কলেজ সেন্ট্রাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন সংক্ষেপে ‘বাকসু’ নামটি ব্যবহার করে আসছে। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে এই নাম কলেজেরই বলে তারা দাবি করেন।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তাবিত খসড়া গঠনতন্ত্রে নাম রাখা হয়েছে বরিশাল ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন। সংবিধানে ‘বাকসু’ শব্দটি নেই। ববি প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, আমাদের সংবিধানে ‘বাকসু’ শব্দটি নেই। ইংরেজিতে নাম ব্যবহৃত হলেও আমরা বাংলায় এটিকে ‘বাকসু’ হিসেবে ব্যবহার করছি না।
বিএম কলেজের প্রতিনিধিরা জানান, বরিশালের ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ‘বাকসু’র নাম। তারা ইতিহাস ও ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখে একটি সুন্দর সমাধান চায়। তা না হলে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, যা তারা কোনোভাবেই কামনা করেন না।
বৈঠক শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান ছাড়াই স্থগিত করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন