প্রশাসনের একটি বড় অংশ জামায়াতে ইসলামীর দখলে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, শুধু প্রশাসন-পুলিশই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংকসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে জামায়াতের পুরোপুরি আধিপত্য রয়েছে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এ কথা বলেন তিনি।
রুমিন ফারহান বলেন, ‘আজকাল যে আচরণগুলো আমরা লক্ষ্য করি, অনলাইন-অফলাইন সর্বত্রই। মিডিয়া ও মিডিয়ার বাইরে, মাঠের রাজনীতিতে কিংবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। ঠিক যে রকম এরোগেন্সি (ঔদ্ধত্য) গত ১৫ বছর দেখেছি, সেটা আমরা কিছু দলের ভেতরে নির্বাচনের আগেই ১৫ মাসেই দেখতে পাচ্ছি।’
‘ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন, প্রশাসনিক ‘ক্যু’র চেষ্টা করছেন’— গণমাধ্যমে জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমানের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘প্রশাসনের একটা বড় অংশ জামায়াতের দখলে। শুধু প্রশাসন-পুলিশই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংকসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে জামায়াতের পুরোপুরি আধিপত্য রয়েছে। সুতরাং তিনি যদি তার দল (জামায়াতে ইসলামী)-কে মিন (বোঝাতে চান) করে থাকেন, সেটা তিনি বলতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত হচ্ছে ‘নির্বাচনকে আমরা যদি টার্গেট করি আলোচনাটা করি—প্রশাসন কার দখলে, পুলিশ কার দখলে। নির্বাচনটা কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে হবে না। এখানে সরকারের সদিচ্ছার ব্যাপার আছে, সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও ভোটারদের ব্যাপার আছে, কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপার আছে। সুতরাং আপনি যদি সবকিছু বিবেচনায় নেন তাহলে কেবল পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে হবে না। এই পুলিশ-প্রশাসন কিভাবে কাজ করবে সেটাও নির্ধারণ করা এবং তারা যাতে একেবারে পেশাদারিত্বের সাথে কাজগুলো করে সেটাও দেখভালের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন সেটি কতটুকু নিরপেক্ষভাবে করবে এবং কতটুকু শক্তভাবে করবে সেটাও একটা প্রশ্ন।’
এ সময় জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন রুমিন ফারহানা।
তিনি বলেন, ‘শাহজাহান চৌধুরী দুই দিন আগে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন, তার কথায় চন্দ্র-সূর্য সব কিছু থেমে যায়। তিনি বলেছেন— ‘তাকে না চিনলে চিনে রাখতে।’ তিনিসহ জামায়াতের বেশ কয়েকজনকে আমরা এ কথাও বলতে শুনেছি— ‘আমরা বললে মামলা নেবে, আমরা বললে মামলা থেকে অব্যাহতি দেবে। আমরা বললে গ্রেপ্তার করবে, আমরা বললে ছেড়ে দেবে।
আমাদের কথায় পুলিশ উঠবে-বসবে।’ সেটা বলার একপর্যায়ে তিনি (শাহজাহান) জামায়াত আমিরকেও খুঁজছিলেন। উনি কোথায়, ওনাকে সামনে রেখে সাক্ষী মেনে এ কথাগুলো বলতে চাইছেন। আমরা যদি এগুলো দেখি, তাহলে বুঝতে অসুবিধা হয় না, কী পরিমাণ কন্ট্রোলের দিকে যেতে চাইছে তারা।’
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ